মুক্তি পেতে চলছে ‘নানা হে’,সিনেমার গান এবং গল্প দুই সম্পৃক্ত বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে...
আজকাল | ০৬ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবতডেস্ক: ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ রবীন্দ্রনাথের এই গান শুধুই গান নয়। এই গান পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গকে এক সুতোয় ধরে রেখেছে। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় এই গান রচনা করেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সে বছরেই তাঁর উদ্যোগে শুরু হয়েছিল রাখিবন্ধন উৎসব। এই গানই ছিল সেদিনের মূলমন্ত্র।
সম্প্রতি এই গানকে গোটা সিনেমায় আবহ সঙ্গীত হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ‘নানা হে’ নামে ছবিতে। ৭ মার্চ মুক্তি পেতে চলছে এই ছবি। গানটির প্লেব্যাক গায়িকা শ্রেয়া ভট্টাচাৰ্য। এই ছবির গানের মধ্যে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পথ চলা শুরু হল তাঁর। শুরু থেকেই তাঁর ঝোঁক রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি। আজকাল ডট ইন’কে তিনি জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই গানটি গাওয়ার প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। গোটা গানটি রেকর্ডিং-এর সময়কার অভিজ্ঞতা দারুন বলেই জানিয়েছেন তিনি। এই সিনেমা মূলত লোকসঙ্গীতের অন্যতম ধারা গম্ভীরাকে মাথায় রেখে বানানো হয়েছে। সিনেমায় বাঙালির সংস্কৃতি এবং লোকসঙ্গীতকে তুলে ধরতে চেয়েছেন পরিচালক আঞ্জনাভ রায়।
বাংলার লোকসঙ্গীতের এই ধারার প্রচলন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলা ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। শিবের আরেক নাম ‘গম্ভীর’। এই গম্ভীর থেকে গম্ভীরা শব্দটির উৎপত্তি। প্রতিবেদনে উল্লেখিত অঞ্চলের চৈত্র সংক্রান্তিতে শিবের পুজোর দিন এই গান বিশেষ করে গাওয়া হয়। বলাই যেতে পারে এই লোকসঙ্গীত দুই দেশের মধ্যে একটি যোগস্থল তৈরি করে। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের এই গান আজও মনে করিয়ে দেয় অতীতের বাংলা ভুমির কথা। সেকারণেই হয়তো সিনেমায় রবীন্দ্রনাথের এই গানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।