জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'এই ঘটনা সহজেই এড়ানো যেত'। যাদবপুর কাণ্ডে রাজ্যের গোয়েন্দাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। ইন্দানুজ রায়েক অভিযোগের ভিত্তিতে FIR করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ১২ মার্চের মধ্যে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যের কাছে।
ঘটনাটি ঠিক কী? যাদবপুর কাণ্ডে জল গড়িয়েছে হাইকোর্টে। পুলিসের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে যাদবপুরের পড়ুয়াদেরই একাংশ। যাদবপুর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ৭ FIR দায়ের করেছে পুলিস। মামলাকারীদের অভিযোগ, সেই FIR-র সূত্র ঘরে প্রত্যেক পড়ুয়া মেসে গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে। মামলাটির শুনানি হল আজ, বুধবার।
শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, 'এই ঘটনা সহজেই এড়ানো যেত। পুলিসের গা ছাড়া মনোভাবের জন্য বিপত্তি'। তাঁর প্রশ্ন, 'স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা কেন থাকেন? গোয়েন্দারা কি মন্ত্রীকে সতর্ক করেছিলেন? মন্ত্রী কি সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছিলেন'? আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'একপক্ষের বয়ানের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়েক করা হয়েছে। অপরপক্ষের বয়ান কোথায়'?
এদিকে যাদবপুর কাণ্ডে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'কোন পরিস্থিতিতে সেই সময়ে আমাদের শিক্ষামন্ত্রীকে ওইভাবে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল, সেটা তো তদন্তসাপেক্ষ বিষয়। ছেলেটি কী করে গাড়ির তলায় গেল? এই ধরণের পরিস্থিতি তো বিশ্ববিদ্যালয়ে কাম্য নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের জন্য় সারা ভারতের কাছে পশ্চিমবঙ্গের মাথা নিচু হয়ে গেল। সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির জন্য় কেউ পুলিসকে দায়ি করছেন, কেউ কর্তৃপক্ষকে দায়ি করছেন। কিন্তু দায়ী তো সরকার'।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, 'যাঁরা সেখানে হামলা করতে এসেছে, দোষটা তো তাদের। তাঁরাই গন্ডগোল করে,তারাই ভিক্টিম কার্ড খেলছে। তারা নাটক করছে, তারাই কোর্টে গিয়ে কাঁদছে, এ কী করে হতে পারে'। বললেন, 'আদালত যদি কোনও নির্দেশ দেয়, তার উপর তো আমরা কিছু বলতে পারি না। কিন্তু সকলে দেখেছেন। পুলিসের কাছে অভিযোগ জমা পড়লে নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখে fir হবে। এখন কোর্ট বলেছে, হবে'।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News