যে ভাবে হোক, এ বারে পাশ করতেই হবে। উপযুক্ত প্রস্তুতি না হওয়ায় মোবাইল নিয়ে পরীক্ষায় পাশের চেষ্টা এক উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়ার। কড়া প্রহরায় মোবাইল থেকে টুকলির পরিকল্পনা পূরণ হয়নি। এ বার পাশের বদলে পরীক্ষা বাতিলের উপক্রম।
ঘটনাটি ঘটেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার ব্যানার্জিডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, পড়ুয়াটি সিসি পরীক্ষার্থী। ইংরেজি বিষয়ে গত বছর ফেল করেছিল। পাস করার মরিয়া চেষ্টায় বুধবার তাই কোনওভাবে মোবাইল নিয়ে ঢুকে পড়েছিল পরীক্ষাকেন্দ্রে। তবে, পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে ধরা পড়ে যায়। বাজেয়াপ্ত করা হয় মোবাইল।
এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর 'ইংরেজি' পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আঞ্চলিক দপ্তরের পক্ষ থেকে। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ সংসদের জেলা মনিটরিং কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রামজীবন মাণ্ডি জানান, ‘মেয়েটি সিসি ক্যান্ডিডেট। বাংলা পরীক্ষা দেয়নি। যেহেতু, গত বছর ইংরেজিতে ফেল করেছিল, তাই আজ ইংরেজি পরীক্ষা দিতে এসেছিল। ওর কাছ থেকে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আমরা ওর খাতা আলাদা করে রেখেছি। পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, মোবাইল নিয়ে ধরা পড়া ছাত্রীটি গড়বেতার মংলাপুর শরৎচন্দ্র শিক্ষানিকেতনের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পরীক্ষাকেন্দ্র ব্যানার্জিডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়। সিসি ক্যান্ডিডেট ওই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে এদিন মোবাইল উদ্ধার হয়। মোবাইল উদ্ধারের পর ওই ছাত্রীকে আর পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, সবং গ্রামীণ হাসপাতাল এবং চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে এদিন তিন ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা দিয়েছে। ডেবরা তেলিপুকুর হাইস্কুলে পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল খাটরাঙ্গা হাইস্কুলের ছাত্রী মেঘা পারভিনের। তার পেটে সমস্যা হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই তার পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এছাড়া, সবং হাসপাতালে পরীক্ষা দেয় হরিরহাট হাইস্কুলের ছাত্রী অয়ন্তিকা হাজরা। তার পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল সারদাময়ী হাইস্কুল। চন্দ্রকোনা টাউনের মহেশপুর হাইস্কুলের ছাত্রী শবনম ইয়াসমিন পরীক্ষা দেয় চন্দ্রকোনা হাসপাতালে। তার পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল চন্দ্রকোনা জিরাট হাইস্কুল। সংসদের জেলা মনিটরিং কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রামজীবন মান্ডি বলেন, ‘ব্যানার্জিডাঙ্গা হাই স্কুল কেন্দ্রে এক ছাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার হয়েছিল। তার পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও, তিন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাদের হাসপাতালে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’