• খড়গ্রামে প্রচুর জাল কীটনাশক ও সার বাজেয়াপ্ত, গ্রেপ্তার তিন
    বর্তমান | ০৬ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কান্দি: জেলাজুড়ে রমরমিয়ে চলছিল জাল রাসায়নিক সার সহ কীটনাশক বিক্রি। একটি ফোন পেয়েই সেই চক্রকে ধরল পুলিস। বুধবার খড়গ্রাম থানার পুলিস জাল সার, কীটনাশক সহ তিন বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে মাঝিপাড়া থেকে। আটক করা হয়েছে একটি পিক আপ ভ্যানও। ধৃতদের এদিনই কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক প্রত্যেকের দু’ দিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। কৃষিদপ্তরের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ এনেছে আতঙ্কিত চাষিরা। অনেকে না বুঝেই এমন সামগ্রী ব্যবহার করায় আতঙ্ক বেড়েছে।


    পুলিসের কাছে ধৃতরা জানিয়েছে, গত একবছর ধরে তারা এইসব জাল সামগ্রী বিক্রি করছে। এদিন খড়গ্রাম থানার পারুলিয়া পঞ্চায়েতের মাঝিপাড়ায় নকল মাল বিক্রির সময়ে পুলিস এদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। গাড়ি সহ সমস্ত মাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে।


    খড়গ্রাম থানার পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা হল মুর্শিদাবাদের লালবাগ থানার খোসবাগের মুলোডাঙার যুবক শাহি আলম। তিনি নিজেকে জেলা ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। অপর দুইজন শেখ নুর অমিন ও রবিউল ইসলাম। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থানার আবদালপুর মাঠপাড়া। এরা নিজেদের সাপ্লায়ার বলে পরিচয় দিয়েছে।


    পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই গাড়িতে করে বিভিন্ন কোম্পানির স্টিকার সাঁটা অ্যামোনিয়াম সালফেট জাতীয় রাসায়নিক সার পাওয়া গিয়েছে ২০ বস্তা। সারের বস্তাগুলিতে বিভিন্ন কোম্পানির নাম দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির নাম নেটে সার্চ করে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এছাড়াও ১০টি বড় সাইজের জাল কীটনাশকের বালতি পাওয়া যায়। আরও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১৮টি কার্টুনে ভরা সাড়ে ৪০০০ কীটনাশক ও রোগনাশকের  প্যাকেট সহ নগদ তিনহাজার টাকা।


    পারুলিয়া বাজারের চাষি আনারউদ্দিন শেখ বলেন, কিছুদিন আগে এই ধরনের সার ও কীটনাশক আমরা বাজার থেকে কেনার পর ধানের জমিতে ব্যবহার করেছি। কিন্তু তাতে ভালো কিছু হয়নি। কৃষিদপ্তর এসম্পর্কে আমাদের সাবধান করেনি। অপর চাষি শুকুর শেখ বলেন, কৃষিদপ্তরের উচিত ছিল আমাদের সতর্ক করা। তাহলে এভাবে আমাদের ঠকতে হয় না।
  • Link to this news (বর্তমান)