• বর্ধমানে দাপট বাড়ছে জমি সিন্ডিকেটের
    বর্তমান | ০৬ মার্চ ২০২৫
  • সুখেন্দু পাল, বর্ধমান: অন্যায় করলেও শাস্তি হয় না। সেকারণেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এলাকার ‘দাদা’রা। তাদের সিন্ডিকেটের বাইরে কাজ করবে এমন সাহস কারও নেই। বর্ধমান শহর ছাড়াও সংলগ্ন এলাকাতেও সক্রিয় এই জমি সিন্ডিকেটরাজ। শহরের পাশেই রয়েছে বর্ধমান-১ এবং ২ ব্লক। খাতায় কলমে গ্রাম হলেও এই এলাকাগুলি শহরকে টক্কর দেয়। সেই কারণে বৈকুণ্ঠপুর হোক কিংবা রায়ান, সব জায়গায় জমির দাম ঊর্ধ্বমুখী। নবাবহাট এলাকাতেও জমি অগ্নিমূল্য। স্থানীয়রা বলেন, শহর লাগোয়া এই এলাকাগুলিতে দুই ‘দাদা’র রাজ চলে। তাদের নামে একাধিক অভিযোগ বিভিন্ন জায়গায় জমা পড়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকায় তাদের টিকি ছোঁয়ার সাহস দেখায়নি কেউ। 


    বর্ধমান-১ ব্লকের এক নেতার ফোনে হুমকি দেওয়ার অডিও একাধিকবার ভাইরাল হয়েছে। এলাকায় এক ব্যক্তি নিজের জমিতে বাড়ি করছিলেন। কিন্তু তার আগে সেই ‘যুব দাদা’কে সন্তুষ্ট না করায় তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দাদার নজর পড়ে রেকর্ডে থাকা গোচারণ ভূমির দিকে। সেটাও তিনি প্লট করে বিক্রির জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন। এলাকায় জলাশয় ভরাট করা তাঁর কাছে নস্যিমাত্র। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাঁকে ‘ঘর থেকে বের করে মারার’ হুমকিও সে দিয়ে থাকে। সম্প্রতি তেমনই একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ওই দাদার অত্যাচারে এলাকার বাসিন্দারা অতিষ্ঠ। কোথায় কী হবে সেটা সেই ঠিক করে। তার বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস কারও নেই।


    বর্ধমান-২ ব্লকেও এমনই আর এক দাদা রয়েছেন। স্থানীয়রা বলেন, তাঁর নজরও খাসজমির দিকে। সরকারি জমি প্লট করে বিক্রির অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে। জমির রেকর্ড বদল করতে তিনি সিদ্ধহস্ত বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। গাংপুর, বৈকুণ্ঠপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁরই রাজ চলে। এলাকায় অবৈধ নির্মাণের পিছনেও তাঁর হাত রয়েছে। অভিযোগ হওয়ার পরও তার গতি থামেনি।
  • Link to this news (বর্তমান)