• পচাগড়ে উপ প্রধানের দুই জা’য়ের এপিক কার্ডে গরমিল, রাজগঞ্জেও ভূতুড়ে ভোটার
    বর্তমান | ০৬ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি ও সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: এখনও পর্যন্ত কোচবিহার জেলার মাথাভাঙায় সবচেয়ে বেশি এপিকে গরমিল মিলেছে। এবার পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ প্রধানের দুই জায়ের এপিক নম্বরে ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশে দু’জনের নাম দেখাচ্ছে। এদিকে, এদিন ভূতুড়ে ভোটারের খোঁজ মেলে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে, কোচবিহারের চকচকায়। 


    রাজগঞ্জ ব্লকের সুখানি পঞ্চায়েতের ১৩৪ নম্বর বুথে ভোটার তালিকায় মুকেশ কান্ধার নাম রয়েছে। তৃণমূলের দাবি, অসমেও ভোটার তালিকায় নাম আছে ওই ব্যক্তির। শুধু তাই নয়, মান্তাদারি অঞ্চলে মন্তরা খাতুনের নাম রয়েছে ভোটার তালিকায়। অথচ এপিক কার্ডে তাঁর ঠিকানা দেখাচ্ছে হেমতাবাদ। রাজগঞ্জে ১৩৪ নম্বর বুথে যে ব্যক্তির নাম রয়েছে, তাঁর নাম আবার ১১৭ নম্বর বুথেও রয়েছে, দাবি তৃণমূলের রাজগঞ্জ ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, দলের নির্দেশে কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখছেন। বেশকিছু ভূতুড়ে ভোটারের খোঁজ মিলেছে। এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি মান্তাদারি অঞ্চলের মহারাজঘাটে। 


    তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, এখনও পর্যন্ত রাজগঞ্জ ব্লক থেকে ভোটার তালিকায় থাকা ৫০টিরও বেশি সন্দেহজনক নাম জমা দিয়েছেন কর্মীরা। গোটা জেলায় এমন শতাধিক নাম রয়েছে। ওই তালিকা প্রশাসনের হাতে তুলে দেব। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, ধূপগুড়ির ঝাড়আলতা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চারজনের নাম জমা পড়েছে। যাদের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। অথচ বাস্তবে হদিশ মেলেনি। মালবাজার শহরে দেখা গিয়েছে, একই এপিক নম্বরে একজন পুরুলিয়ায় রয়েছেন। আবার মালবাজারেও রয়েছেন। 


    এদিকে, পচাগড় পঞ্চায়েত এলাকার পশ্চিম বাইশগুড়িতে বাড়ি উপ প্রধান কল্যাণী রায়ের। তাঁরা পশ্চিম বাইশগুড়ি আর আর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। কল্যাণীর দাবি, তাঁর দুই জা শুক্লা নন্দী রায় ও সুর্বণা রায় চৌধুরীর এপিক নম্বর যাচাই করলে আয়েষা খানম ও অশোক নামে দু’জনের নাম দেখা যাচ্ছে। এরা ওড়িশার ভদ্রক ও উত্তরপ্রদেশের দিদারগঞ্জ বিধানসভার ভোটার। বুথের আরও কয়েকজনের এমন গরমিল নজরে এসেছে। মাথাভাঙায় বিজেপি  বিধায়ক। এতে বিজেপিরই হাত রয়েছে। কোচবিহারের চকচকার চাপাগুড়িতে এক ভোটারের এপিক নম্বরে দেখা যাচ্ছে উনি উত্তরপ্রদেশের ভোটার, আরএকজন আবার অসমের।  


    কল্যাণী বলেন, নিজের বাড়ির ভোটারদের এপিক যাচাই করতে গিয়ে দুই জা’য়ের এপিকে গরমিল দেখলাম। বিষয়টি মহকুমা শাসকের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে জানাব। যদিও বিজেপির কোচবিহার জেলা সহ সভাপতি মনোজ ঘোষ বলেন, এপিক গরমিলের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন দেখছে। তারা এনিয়ে কাজও শুরু করেছে। তৃণমূল মানুষকে বেশি করে বিভ্রান্ত করছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)