নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিকে চেনা ছবিতে ফিরল মালদহ। তল্লাশির সময় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর, টুকলি নিয়ে ধরা পড়া, সবই হল। তাও বুধবার জেলা সফরে ছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। সেদিনই আরও বেপরোয়া হয়ে উঠল পরীক্ষার্থীরা। মাধ্যমিকের সময় মালদহ শান্ত থাকায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত, এদিন ছিল ইংরেজির পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র বেশ সোজা এসেছে বলেই পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের একটা বড় অংশের দাবি।
এদিনের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে পারলালপুর হাইস্কুল, চরসুজাপুর হাইস্কুল এবং ক্যামদিটোলা হাইমাদ্রাসার পরীক্ষার্থীদের দিকে। তাদের সিট পড়েছে কালিয়াচকের বৈষ্ণবগ্রামের চামাগ্রাম হাইস্কুলে। যদিও, মূল অভিযুক্তরা কোন কোন স্কুলের, তা জানার চেষ্টা চলছে। টুকলি নিয়ে ধরা পড়ে পরীক্ষার্থীরা দু’জন শিক্ষিকা এবং চারজন শিক্ষককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিস। এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন সংসদ চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যও। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির গজলডোবা হাইস্কুলের এক পরীক্ষার্থী আদর্শ বিদ্যালয় হিন্দি স্কুলের মোবাইল সহ ধরা পড়ে। অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরে মঙ্গলাপুর শরৎচন্দ্র শিক্ষায়তনের এক পরীক্ষার্থীও ব্যানার্জিদন্ডা হাইস্কুলে মোবাইল নিয়ে ধরা পড়ে যায়। তাদের দু’জনের পরীক্ষাই এবছরের জন্য বাতিল করা হয়েছে। চিরঞ্জীববাবু এদিন মালদহের ইংলিশবাজার এবং কালিয়াচকের ন’টি স্কুল পরিদর্শন করেন। ব্যবস্থাপনা নিয়ে মোটামুটি সন্তোষই প্রকাশ করেন তিনি। সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক ঘোরেন উত্তর ২৪ পরগনার ১০টি স্কুলে। ট্যাবের টাকা নিয়েও ৫৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর উচ্চ মাধ্যমিকে না বসা প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তাঁর বক্তব্য, কোনওকিছু শুরু হলে তা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে। এক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।