• শিলিগুড়িতে ‘সুস্বাস্থ্য’ ভবনের শিলান্যাস সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর, প্রকল্পের অনুমোদন প্রত্যাহার পুরসভার
    বর্তমান | ০৬ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: স্থানীয়দের আপত্তি। সঙ্গে প্রকল্পের নাম নিয়ে বিভ্রান্তির আশঙ্কা। তাই বুধবার শিলিগুড়িতে শিলান্যাসের পরই ‘সিকিম সুস্বাস্থ্য ভবন’ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন প্রত্যাহার করল পুরসভা। এদিন বিষয়টি জানান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। ফলে সিকিম সরকারের ১৯৭ কোটি টাকার প্রকল্প আপাতত বিশ বাঁও জলে। এনিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে নয়া বিতর্ক দানা বাঁধতে চলেছে বলে আশঙ্কা। 


    মেয়র বলেন, বাংলায় সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। তাই এখানে ‘সিকিম সুস্বাস্থ্য ভবন’ নামটি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। তাছাড়া ওই বহুতল প্রকল্প নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আপত্তি তুলেছেন। এজন্য সেটির অনুমোদন প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি সিকিমের মুখ্যসচিব ও পরিবহণ বিভাগের সচিবের কাছে জানানো হবে। এ ব্যাপারে পুরসভার কমিশনারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সিকিম পরিবহণ সংস্থার আধিকারিকরা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। 


    শিলিগুড়ি শহরের জনবহুল এলাকাগুলির মধ্যে গুরুংবস্তি অন্যতম। সেখানে প্রায় ২.১ একর জমিতে গড়ে উঠেছে সিকিম পরিবহণ সংস্থার অফিস। এদিন সকালে সেখানেই বহুতল ভবন নির্মাণের শিলান্যাস করেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং তামাং। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসমেন্ট, গ্রাউন্ড ফ্লোর সহ ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। তাতে হেল্‌থ কেয়ার সেন্টার, অফিস কমপ্লেক্স, স্টাফ কোয়ার্টার, বাসস্ট্যান্ড প্রভৃতি থাকবে। আগামী ৩৬ মাসের মধ্যে প্রকল্পর নির্মাণ কাজ শেষ করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ১৯৭ কোটি টাকা। 


    সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের কিছুক্ষণ পরই শিলিগুড়ি পুরসভা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অনুমোদন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করে। পুরসভা সূত্রে খবর, গত ডিসেম্বর মাসে ওই জমিতে ভবন তৈরির ব্যাপারে ছাড়পত্র চেয়েছিল সিকিম সরকার। প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এই অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ওই প্রকল্প নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। তাঁদের থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের ছাড়পত্রটি পর্যালোচনা করা হয়। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে মেয়র পরিষদের বৈঠক করে ওই অনুমোদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেয়র বলেন, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে তিনটি কারণ। প্রথমত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তত্ত্বাবধানে রাজ্যজুড়ে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালনা করা হচ্ছে। তাই সিকিম সুস্বাস্থ্য ভবন নামটি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। দ্বিতীয় বাস টার্মিনাসে ভবনের উচ্চতা বজায় রাখতে হবে। সার্ভিস রোডের চওড়া এবং প্লটে যাতায়াতের ব্যবস্থা বিবেচনা করতে হবে। তৃতীয়ত, তেনজিং নোরগে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাসের কাছে ওই প্রস্তাবিত ভবন। সেখানে ভারী যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য সার্ভিস রোড যথেষ্ট চওড়া নয়।
  • Link to this news (বর্তমান)