সংবাদদাতা, বজবজ: বেআইনিভাবে জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিল মহেশতলা পুর কর্তৃপক্ষ। বুধবার পুরসভার একটি টিম ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগরে গিয়ে ওই জলাশয়ের আশপাশের বিভিন্ন বাড়ির দেওয়ালে নোটিস সাঁটিয়ে দেয়। বেআইনি কাজের জন্য নোটিস ধরানো হয়েছে জলাশয়ের মালিককেও। নোটিসে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই জলাশয় ভরাট করা যাবে না। ওই জলাশয় ভরাটের জন্য মাটি জড়ো করা হলে বা কোনও যন্ত্র ব্যবহার করা হলে সংশ্লিষ্ট লোকজনের বিরুদ্ধে ১৯৮৪ সালের পশ্চিমবঙ্গ ইনল্যান্ড ফিসারিজ অ্যাক্ট অনুযায়ী শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে।
এদিন পুরসভার প্রতিনিধিদলকে পুকুর ভরাট রোধে সক্রিয় হতে দেখে স্থানীয় শান্তিনগরের স্থানীয় বাসিন্দারাও স্বাগত জানিয়েছেন। অনেকে বলছেন, প্রথমে তাঁরা এ ব্যাপারে নালিশ জানাতেই ভয় পাচ্ছিলেন। কারণ, একটা প্রচার চলছিল যে এই কাজের পিছনে শাসক দলের প্রভাবশালীদের ইন্ধন আছে। তাই পুরসভা ও পুলিসকে বলে কোনও লাভ হবে না। কিন্ত পুরসভার চেয়ারম্যান বিষয়টি জানার পর ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করেননি। প্রসঙ্গত, এ বিষয়ে এদিনই ‘বর্তমান’ সংবাদপত্রে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তারপর পুরসভা তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জলাশয়ের যতটা ভরাট হয়েছে, মালিক যদি তিনদিনের মধ্যে তা তুলে ফেলে পুকুরকে আগের অবস্থান না ফিরিয়ে দেন, তাহলে পুরসভাই সেই কাজ করে দেবে। এর জন্য যা খরচ হবে, তা জলাশয়ের মালিকের কাছ থেকেই আদায় করবে পুরসভা।