• ১৬০০টি প্লেটে শুরু, এখন ‘মা’ ক্যান্টিনে খাবার পান ২৮ হাজার
    বর্তমান | ০৬ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একসময় দিনে মাত্র ১৬০০ প্লেট বিক্রি হতো। এই পরিসংখ্যান সঙ্গে করে কলকাতায় যাত্রা শুরু করেছিল ‘মা ক্যান্টিন’। তারপর ধীরে তা সহায় হয়ে দাঁড়িয়েছে দুঃস্থ থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত এমনকি কিছু মধ্যবিত্তেরও। বর্তমানে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে মা ক্যান্টিন। কলকাতা পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, এখন রোজ কম করে ২৮ হাজার প্লেট খাবার বিলি হয়। গত চার বছরে বিক্রি হয়েছে তিন কোটি ১৮ হাজার ৭২৭ প্লেট। 


    ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য বাজেটে ‘মা ক্যান্টিন’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচ টাকায় ভাত, ডাল, তরকারি এবং ডিম। অনেকের বক্তব্য, গরিব মানুষের পেট ভরাতে তা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টার স্ট্রোক। ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৬টি কাউন্টার দিয়ে কলকাতায় পথচলা শুরু মা ক্যান্টিনের। তারপর ধাপে ধাপে বেড়েছে ক্যান্টিনের সংখ্যা। বর্তমানে কলকাতায় চলছে ১৪২টি। তার মধ্যে আটটি চলে শহরের একাধিক সরকারি হাসপাতালে। পুরসভার সামাজিক সুরক্ষা বিভাগ সূত্রে খবর, হাসপাতালের ক্যান্টিনগুলিতে রোজ ৫০০ থেকে হাজার প্লেট বিক্রি হয়। অন্যান্য ক্যান্টিন পিছু দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ প্লেট নির্দিষ্ট থাকে। কোথাও সেই সংখ্যা দিনে ৮০ থেকে একশোর ঘরে ঘোরাফেরা করে। শুরুর দিকে দিনে ১০০ প্লেট বিক্রি হতো। অচিরেই জনপ্রিয়তা পাওয়ায় একের পর এক ওয়ার্ডে খুলতে শুরু করে। এবং ক্যান্টিনের ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়। সর্বোচ্চ ১০০ প্লেট বাড়িয়ে করা হয় ৩০০।


    কিন্তু গত চার বছরে সব্জি, মশলা সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম হু হু করে বেড়েছে। তারপরও কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে মা ক্যান্টিনের খাবারের দাম? পাঁচ টাকার বিনিময়ে কিভাবে দেওয়া হচ্ছে পেটভর খাবার? এক পুরকর্তা বলেন, প্রতি প্লেটে সরকার ১০ টাকা করে ভর্তুকি দেয়। তার মধ্যে চাল আমাদের কিনতে হয় না। শুধুমাত্র ডাল ও ডিম কিনতে হয়। তাও সরকারি সংস্থা থেকে স্বল্পমূল্যে পাওয়া যায়। বাকি টাকা ও প্লেট পিছু বিক্রি করে পাওয়া পাঁচ টাকা দেওয়া হয় রাঁধুনি কিংবা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে। এর বাইরেও রান্নার পাচকের জন্য আলাদা টাকা বরাদ্দ থাকে। শহরের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খাবার সরবরাহের গা঩ড়ির জন্যও প্রতি ক্যান্টিন পিছু দিনে ৩০০ টাকা বরাদ্দ। ফলে জিনিসের দাম বাড়লেও ‘অ্যাডজাস্ট’ হয়ে যাচ্ছে। মেয়র পারিষদ মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম। খরচ বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু ডাল কিংবা ডিম সরকারের থেকে কম দামে কিনতে পারছি। চাল বিনামূল্যে মিলছে। তাই সামাল দেওয়া যাচ্ছে। -ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)