এই সময়: পার্ক স্ট্রিটের পর এ বার বড়বাজার। শহরে ফের এক বেসরকারি সংস্থার অফিসে লুট। ঘটনাটি সোমবার সন্ধের হলেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি সামনে এসেছে। অভিযোগ, বড়বাজারের একটি বেসরকারি সংস্থার মালিককে সোমবার সন্ধেয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে মারধর করে দুষ্কৃতীরা।
এরপর তাঁর হাত-পা বেঁধে অফিস থেকে নগদ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা লুট করে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে মঙ্গলবার বড়বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সংস্থার মালিক। বুধবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
লালবাজার সূত্রে খবর, ৩ মার্চ অর্থাৎ সোমবার সিনাগগ স্ট্রিটের একটি বহুতলের পাঁচতলায় পৌঁছে যায় দুষ্কৃতীরা। সেখানে অভিযোগকারীর শেয়ার ট্রেডিংয়ের অফিস আছে। ঘটনার সময়ে বিল্ডিংয়ের অধিকাংশ অফিস ফাঁকা ছিল। তিন যুবক সোজা ঢুকে পড়ে পাঁচতলার অফিসে। ওই অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জেনেছেন, আগন্তুক তিনজনের মধ্যে দু’জন সাদা টুপি ও একজন লাল টুপি পরে ভিতরে ঢোকে। প্রথমে অফিসের মধ্যে ঢোকে একজন।
পরে বাকি দু’জন ঢুকে লুটপাট শুরু করে। মিনিট দশেক পর তিনজনকেই হাতে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে। সংস্থার মালিক পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, আগন্তুকদের প্রথম জন ভিতরে ঢুকে তাঁর কাছে জানতে চায়, তাঁদের অফিসে কোনও লোক নেওয়া হবে কি না। তা নিয়ে কথাবার্তা চলার মধ্যেই পিছু পিছু আরও দু’জন ভিতরে ঢুকে পড়ে।
তারা প্রথমেই অফিসে ঢোকার মূল দরজাটা বন্ধ করে েদয়। তারপরে মালিকের মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় তাঁকে মারধক করা হয়। বেরিয়ে যাওয়ার আগে হাত-পা বেঁধে দেয় দুষ্কৃতীরা। সবমিলিয়ে ব্যাগে ১৫ লক্ষ টাকা ছিল বলে দাবি মালিকের।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই ডাকাতির পেছনে বিহারের দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে। ডাকাতরা হেঁটে বা বাসে চড়ে হাওড়া স্টেশনের দিকে পালিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। অভিযোগকারীর কোনও পরিচিত ব্যক্তি এই ঘটনার নেপথ্যে আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লালবাজারের এক কর্তা।