বিধান সরকার: হঠাৎ বন্ধ স্কুল ফলে বিপাকে পড়ল পড়ুয়ারা। এক সপ্তাহ ধরে স্কুল গেটে তালা! কি হবে বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ, এই চিন্তায় পড়ুয়াদের নিয়ে রাস্তায় বসলেন অভিভাবকরা।
ব্যান্ডেল রেল স্টেশনের পাশে শরৎচন্দ্র বহুমুখী শিক্ষা নিকেতন নামে এই বেসরকারী স্কুল গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছিল। একটা সময় ছিটে বেড়ার ঘর ছিল। পরে শরৎচন্দ্র ইন্সটিটিউটে স্কুল চলতে থাকে। অনেক ছাত্র ছাত্রী এই স্কুল থেকে পরে পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সেই প্রাক্তনীরাও স্কুল বন্ধ হয়েছে খবর পেয়ে চলে আসেন আজ।
অভিভাবক ও প্রাক্তনীরা জানান, রেল হঠাৎ করে স্কুল বন্ধ করে দিল স্কুলটা। এখন বাচ্চারা যাবে কোথায়। ব্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় হয়েছে। সেখানে তাহলে এই বাচ্চাদের নেওয়া হোক। নাহলে এই স্কুলেরই একটি বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবোধ চন্দ্র দাস বলেন, গত ২৫ তারিখে নোটিশ দিয়েছিল রেল। আমরা কিছুটা সময় চেয়েছিলাম। ডিআরএম এর সঙ্গেও দেখা করেছি। হঠাৎ করে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পড়ুয়াদের সমস্যা হচ্ছে।
পরিস্থিতি এমন এক পর্যায় চলে যায় যে, অভিভাবকদের সরাতে ঘটনাস্থলে আসে আরপিএফ। পূর্বরেল সূত্রে খবর, রেলের জায়গায় বেআইনি দখলদারী উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ব্যান্ডেল স্টেশন ও সংলগ্ন এলাকায় পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে যারা অবৈধ ভাবে বসবাস করছে তাদেরও উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ব্যান্ডেল জংশন স্টেশনকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছে রেল। তার জন্য অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত জানান, বেআইনিভাবে দখল করে রাখা জায়গায় উচ্ছেদ করা হচ্ছে আইনি ভাবে। এই কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই স্কুলটি।
এর আগেও আমরা দেখেছি শিক্ষিকার অবসরের পরেই বন্ধ স্কুল। স্কুল খোলার দাবিতে বিডিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছিল গত শুক্রবার নিজের কর্মজীবন থেকে অবসর নেন কালনার শাসপুর রামকৃষ্ণ পল্লীর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা শোভা দাস। অভিযোগ তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল। এই স্কুল খোলার দাবিতে সোমবার বিডিওর কার্যালয়ের সামনে পোস্টার হাতে ধর্ণায় বসে পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। ডেপুটেশনও জমা দেওয়া হয়। যদিও শিঘ্রই স্কুল খোলার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।
এবার এটাই দেখার হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া শরৎচন্দ্র বহুমুখী শিক্ষা নিকেতন নামের এই বেসরকারী স্কুলের ভবিষ্যৎ কী হয়! গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল এই স্কুল, হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের ভবিয্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অভভাবকরাও।