• রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মামলা শেষ হোক ‘চায়ে পে চর্চা’-য়, পরামর্শ হাইকোর্টের বিচারপতির
    এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৫
  • মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের দায়ের করা মানহানির মামলার নিষ্পত্তি হোক ‘চায়ে পে চর্চা’-য়, চাইছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের বেঞ্চে। সেখানে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল এবং প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী আদালতে লড়াই করছেন, তা কারও জন্যই ভালো নয়। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আদালত। তা গ্রহণও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, উভয় পক্ষের আইনজীবীরাই। আলোচনার মাধ্যমেই কি এই মামলার নিষ্পত্তি হতে চলেছে? এখন সব নজর সেই দিকে।

    মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি আদালতের বাইরে বিষয়টি মীমাংসার কথা তুলতেই মমতার আইনজীবী কিছুটা হালকা চালে ‘চায়ে পে চর্চা’ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। আদালতের বাইরে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাবে সদর্থক মনোভাব দেখিয়েছেন রাজ্যপালের আইনজীবীও।

    এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক আইনজীবী বলেন, ‘আদালত যে দু’পক্ষকে বসে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলছে, তা আজকের নির্দেশে উল্লেখ করা হোক। আমাদের আপত্তি নেই।’ এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও জানান, এ দিন মৌখিক ভাবে তা জানানো হলো। পরে লিখিত নির্দেশ দেওয়া যাবে।

    বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপালের করা মামলায় হলফনামা জমা দিতে চেয়ে কিছুটা সময় চান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী। আদালত ২ সপ্তাহ সময় দেয় এই আবেদনের প্রেক্ষিতে। ৯ এপ্রিল মামলাটির পরবর্তী শুনানি।

    উল্লেখ্য, গত বছর মে মাসে রাজভবনে ‘শ্লীলতাহানি’র অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিকদের সামনে রাজভবনে ‘যে সব কীর্তিকলাপ চলছে...’ বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্যে তাঁর সম্মানহানি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বেনজির ভাবে মানহানির মামলা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, তৃণমূলের বেশ কয়েকজন বিধায়কের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যপাল।

  • Link to this news (এই সময়)