নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল দাদুর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সকাল থেকেই বারাসত তপ্ত। এ বার ঘটনায় সেই অভিযুক্ত প্রবীণের দেহ মিলল রেল লাইনের ধারে। পুলিশের অনুমান, লজ্জায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই মৃত্যুর কারণ বোঝা সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বারাসত স্টেশন থেকে বনগাঁগামী ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই প্রবীণ। প্রায় ৫০ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে তাঁর দেহ। ক্ষতবিক্ষত দেহটি দেখে তখন চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে জিআরপির তরফে জানানো হয় দেহটি বারাসতের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রবীণের। দেহ ইতিমধ্যেই বারাসত মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
নাতনির শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল ওই প্রবীণের বিরুদ্ধে। বারাসত পুরসভা এলাকায় তাঁর বাড়ি। পেশায় ওই প্রবীণ ছিলেন ঘুগনি বিক্রেতা। বুধবার দুপুরে মেয়েকে বাড়িতে রেখে শাশুড়িকে নিয়ে পুরসভায় যান ওই নাবালিকার মা। তিনি বাড়ি ফেরার পর তাঁর মেয়ে অভিযোগ করে, দাদু তার শ্লীলতাহানি করেছে। প্রথমে হতভম্ব হয়ে যান বাড়ির মহিলারা। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। প্রবীণের স্ত্রী কান্না জড়ানো গলায় বলেছিলেন, ‘যদি স্বামী দোষী হয় তাহলে ও শাস্তি পাক।’ নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্টও হয়।
পুলিশ তদন্ত নামলেও ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন অভিযুক্ত দাদু। বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে পরিবারকে। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে? তা জানতে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।