অরূপকুমার পাল, ঝাড়গ্রাম
গত এক মাস ধরে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্যালাইনের সঙ্কট চলছে। এরই মাঝে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা স্বপন সোরেন এবং রাজ্যের যুগ্ম স্বাস্থ্য অধিকর্তা অশ্বিনী মাঝির টিম হাসপাতাল পরিদর্শন করে গেলেও স্যালাইনের সুরাহা না হওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে রোগীর পরিজনেদের।
খোলা বাজার থেকে স্যালাইন রোগীর পরিজনদের কিনতে দেখে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে সমস্যা সমাধানের জন্য লিখিত আবেদন জানিয়েছিল ‘জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চা’।
মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অশোক মাহাতো বুধবার বলেন, ‘জঙ্গলমহলের সাধারণ খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষকে বাইরের দোকান থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে তা বিনামূল্যে দেওয়ার কথা। দ্রুত স্যালাইনের সমস্যা মেটানোর জন্য লিখিত আবেদন করেছিলাম। কিন্তু এখনও তার সমাধান হয়নি।’ স্যালাইন সঙ্কটের কথা পুরোপুরি স্বীকার করেননি কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, কয়েকটি মাত্র স্যালাইনই বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা স্বপন সোরেন। যদিও তিনি হাসপাতালের স্যালাইন সঙ্কট নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মুখ খোলেননি। হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর আত্মীয় সুনীল সিং বলেন, ‘হাসপাতালে স্যালাইন নেই। বাইরের দোকান থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। আমি পাঁচটি স্যালাইন কিনেছি রোগীর জন্য।’
গত মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম শহরের বেনাগেড়িয়ার বাসিন্দা শ্রীকান্ত মাহাতো মেয়ের সাড়ে তিন বছরের মেয়ে সৃজিতা মাহাতো ডিটারজেন্ট পাউডার খেয়ে ফেলেছিল। তারপর মেয়েকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালে ভর্তি করেন বাবা। এ দিন শ্রীকান্ত বলেন, ‘গতকাল রাতে চিকিৎসক দুটো স্যালাইন লিখে দিয়েছিলেন। বললেন আইসোলেট পি স্যালাইন হাসপাতালে নেই। তখন বাইরের ওষুধ দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসি।’
যদিও ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালের এমএসভিপি অনুরূপ পাখিরা স্যালাইন সঙ্কটের কথা মানতে নারাজ। তিনি বলেন,‘হাসপাতালে স্যালাইন আছে এবং পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকটি স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে ঠিকই।’