• আর্বজনা ফেলার জায়গা নেই! ১০ বিঘা জমি দিলেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ...
    আজকাল | ০৬ মার্চ ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের উদ্যোগে অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে বদলাতে শুরু করেছে জঙ্গিপুর পুরসভার মলিন এবং পুঁতিগন্ধময় চেহারা। জঙ্গিপুর পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডের ময়লা ফেলার জন্য বৃহস্পতিবার থেকে তিনি  রঘুনাথগঞ্জ শহরের অদূরে মথুরাপুর এলাকায় প্রায় দশ বিঘা একটি জমি পুরসভাকে ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য দিলেন। জমি পাওয়ার পর থেকে সেখানে শহরের ময়লা ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। 

    সূত্রের খবর, সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা চিন্তা করে পুরসভাকে আপাতত দু'মাসের জন্য তৃণমূল বিধায়ক নিজের জমিটি ভাগাড় হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি দিলেও, পরবর্তীকালে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য পুরসভাকে ওই জমি ব্যবহার করার অনুমতি তিনি দিতে পারেন। 

    প্রসঙ্গত, গত প্রায় ১৫ দিন ধরে শতাব্দী প্রাচীন জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকার ২১টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছিলেন। দিন ১৫ আগে থেকে পুরসভার সাফাইকর্মীরা হঠাৎ করেই শহরের ময়লা তোলার কাজ বন্ধ করে দেন। 

    সূত্রের খবর, পুরসভা এলাকার কিছু বাসিন্দা বর্তমান ভাগাড়টি নিয়ে অভিযোগ জানানোর ফলে সেখানে আবর্জনা ফেলা যাচ্ছিল না। ফলে পুরসভার সাফাইকর্মীরা ময়লা তুললেও গাড়িতে করে তা নিয়ে গিয়ে ফেলার কোনও জায়গা পাচ্ছিলেন না। রাজ্য সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে শহর এবং গ্রামীণ এলাকা পরিষ্কার রেখে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধের যে চেষ্টা করছে। এর ফলে জঙ্গিপুরে তা একপ্রকার মাঠে মারা যেতে বসেছিল। 

    গোটা বিষয়টি নজরে আসার পরেই পুলিশ-প্রশাসন এবং তৃণমূল বিধায়কের তরফ থেকে হস্তক্ষেপ করা হয়। জাকির হোসেন জানান, 'পুরসভার শীর্ষ স্তরের কয়েকজন আধিকারিকের ব্যর্থতার জন্য এতদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ময়লার পাহাড় জমে ছিল। বহু মানুষ গোটা বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।' তিনি জানান, 'শহরের ময়লা পরিষ্কার করার আবেদন জানিয়ে পুরসভার বেশ কিছু কাউন্সিলরও আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। রমজান মাস পড়ে যাওয়ায় এবং শহর অপরিছন্ন থাকার কারণে যে সমস্ত মানুষ রোজার উপবাস করছেন তাঁরাও খুব অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। সেই কারণে আমি নিজের প্রায় ১০ বিঘা জমি পুরসভাকে ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছি। আমার আশা এর ফলে জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকার প্রায় ৮০ হাজার বাসিন্দা যে ভয়ঙ্কর দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছিলেন তা থেকে সকলে মুক্তি পাবেন। '

    অন্যদিকে পুরসভার চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম বলেন, 'বিধায়ক আপাতত নিজের জমি দু'মাসের জন্য পুরসভাকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন। এর মধ্যে আমরা নতুন একটি জায়গা খোঁজার চেষ্টা করছি, যা ভাগাড় হিসেবে ব্যবহার করা হবে।'
  • Link to this news (আজকাল)