ট্রলি ব্যাগ কাণ্ডে ফের পুনর্নির্মাণ, আরতি ও ফাল্গুনী দেখাল কীভাবে দেহ নিয়ে কুমোরটুলি গিয়েছিল
আজকাল | ০৬ মার্চ ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ট্রলি ব্যাগ কাণ্ডে ফাল্গুনী ঘোষ ও আরতি ঘোষকে নিয়ে পুলিশ ফের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাল। কীভাবে সুমিতা ঘোষের দেহ মধ্যমগ্রাম থেকে কুমোরটুলি নিয়ে গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ তাদের দু'জনকে নিয়ে তা পুনর্নির্মাণ করিয়েছে।
দিন কয়েক আগে কলকাতার উত্তর বন্দর থানা ও মধ্যমগ্রাম থানা যৌথভাবে ফাল্গুনী ও আরতিকে দিয়ে খুনের পুনর্নির্মাণ করিয়েছিল। পরে বারাসত আদালত থেকে পুলিশ ফাল্গুনী ও আরতিকে ফের নিজেদের হেফাজতে নেয়। আবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ বেশ কিছু নতুন তথ্য পেয়েছে। তারপর মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লির যে বাড়িতে খুনের ঘটনা ঘটেছিল, বৃহস্পতিবার সেখানে মা ও মেয়েকে পুনর্নির্মাণের জন্য আবার নিয়ে যাওয়া হয়। পুনর্নির্মাণের প্রথম দিন পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছিল। তারপর মা ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আর নতুন কিছু তথ্য জানতে পারে। এদিন মূলত খুনের পর সুমিতার দেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে কীভাবে কুমোরটুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে ব্যাপারেই পুনর্নির্মাণ করা হয়।
সেদিন সুমিতার দেহ বীরেশপল্লির মোড় থেকে প্রথমে ভ্যান ডেকে ফাল্গুনী ও আরতি দোলতলা মোড়ে নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে তারা ট্যাক্সিতে করে কুমোরটুলি ঘাটের উদ্দেশে কীভাবে ট্রলি ব্যাগে মৃতদেহ নিয়ে পৌঁছেছিল, পুলিশ এদিন তা পুনর্নির্মাণ করিয়েছে। ভ্যানচালক জানান, সেদিন ভোরে ১৩০ টাকার বিনিময়ে তিনি বীরেশপল্লি থেকে দোলতলা মোড়ে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলেন। ট্যাক্সিচালক জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে ৭০০ টাকা চেয়েছিলেন। ফাল্গুনীরা প্রথমে বলেছিল ৫০০ টাকা দিতে চেয়েছিল। পরে ৬০০ টাকায় রফা হয়। তারপর দোলতলা মোড় থেকে ফাল্গুনী ও আরতি ট্রলিতে সুমিতার দেহ নিয়ে কুমোরটুলি গিয়েছিল।
এই কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ দেখতে এদিন রাস্তার দু'পাশে কৌতুহলি মানুষের ভিড় জমে যায়। জনতার ভিড় থেকে মা ও মেয়ের শাস্তির দাবিও ওঠে।