• ট্যাব নিয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে বসল না ৫৫ হাজার পড়ুয়া! কোন গেরোয় ভাঙছে ‘তরুণের স্বপ্ন’?
    প্রতিদিন | ০৬ মার্চ ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: ট্যাবে ‘হ্যাঁ’, পরীক্ষায় ‘না’! একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ট্যাব কেনার ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেনি। কেউ বিয়ে করে ফেলেছে তো কেউ আবার ভিনরাজ্যে কাজে যোগ দিয়েছে। হিসেব বলছে, গত বছরের তুলনায় এবছরে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ২ লক্ষ। যা চিন্তা বাড়িয়েছে শিক্ষাদপ্তরের।

    সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছিল ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৮ জন। তার মধ্যে একাদশ শ্রেণির জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিল ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার পড়ুয়া। অথচ এই বছর পরীক্ষা দিচ্ছে মাত্র ৫ লক্ষ ৮ হাজার ৪১৩ জন। অর্থাৎ প্রায় ৫৫ হাজার পরীক্ষার্থী কমেছে। একাদশ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় বসতে চায় না অনেকে। কেউ কেউ পরিবারের প্রয়োজন জীবিকার খোঁজ শুরু করে। কেউ কেউ তো রোজগারের আশায় ভিনরাজ্যেও পাড়ি দেন। আর প্রান্তিক এলাকা ছাত্রীদের পরিবারের চাপে বিয়েও হয়ে যায়। কেউ কেউ নিজেও বিয়ে করে সংসার শুরু করে। আবার সংসদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিকের যুক্তি, একাদশে রেজিস্ট্রেশনের সময় এবং একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার সময় অনেক পড়ুয়াই চাকরি করতে চলে যায়। দ্বাদশে ওঠার পর ট্যাবের টাকা নেয় কিন্তু অনেকে পরীক্ষায় বসে না।

    উল্লেখ্য, করোনা কালে অফলাইনের বদলে অনলাইন ক্লাস চালু হয় একাধিক স্কুলে। পড়ুয়ারা যাতে বাড়িতে বসেই ক্লাস করতে পারে সেই কথা মাথায় রেখে ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প চালু করেছিল সরকার। বলা হয়েছিল, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। যার বিনিময় পড়ুয়ারা ট্যাব বা স্মার্টফোন কিনবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকারি টাকা নিলেও উচ্চ মাধ্যমিকে বসছেন না বহু পড়ুয়া। এই প্রবণতা শিক্ষাবিদদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে।

    বিষয়টি সম্পর্কে জেনে ‘হতাশ’ শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার। বলছেন, “টাকা তো সবার দরকার। সবমসময় দরকার। তাই টাকা নিয়েছে। কী আর করা যাবে! এটা তার বিবেকের প্রশ্ন। কিন্তু বিষয়টা অত্যন্ত হতাশাজনক। পরীক্ষায় আগ্রহ কমছে কারণ পড়াশোনায় আগ্রহ কমছে। তাই পরীক্ষায় বসছে না।” 
  • Link to this news (প্রতিদিন)