ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেটে কলকাতা পুলিশে চাকরি? জেলার থেকে রিপোর্ট তলব লালবাজারের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ মার্চ ২০২৫
এক দশকেরও বেশি সময় আগে কলকাতা পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে বিরাট অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র ব্যবহার করে কলকাতা পুলিশে চাকরি পেয়েছেন শতাধিক কনস্টেবল। সেই অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার। এর আগে কনস্টেবলদের কাছ থেকে নথি তলব করা হয়েছিল। আর এবার সেই নথি যাচাই শুরু করল লালবাজার। এর জন্য জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন লালবাজারের আধিকারিকরা। জেলা থেকে এই সব নথি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে লালবাজার। জানাতে বলা হয়েছে, জাতিগত শংসাপত্রগুলি সঠিক নাকি ভুয়ো।
২০১২ সালে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি। তাদের অভিযোগ, ২০১২ সালে ভুয়ো তফসিলি শংসাপত্র জমা দিয়ে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলে চাকরি পেয়েছেন শতাধিক। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে পুরসভা ও আরও বিষয়ে রাজ্যে সম্প্রতি একের পর এক দুর্নীতির মধ্যেই এমন অভিযোগকে কেন্দ্র অস্বস্তিতে পড়ে সরকার। এরপরেই তৎপরতার সঙ্গে সেন্ট্রাল রিজার্ভ অফিসের তরফে ওই বছর যারা তফসিলি জাতিগত শংসাপত্র জমা দিয়ে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের নথিপত্র চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। এই সমস্ত নথি তাঁদের লালবাজারের জমা দিতে বলা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই বছর তফসিলি শংসাপত্র জমা দিয়ে চাকরি পাওয়া কনস্টেবলরা নিজেদের নথি লালবাজারে জমা দিয়েছেন। সেই সমস্ত নথি একেবারে তালিকা ধরে খতিয়ে দেখা শুরু করে দিয়েছে লালবাজার। বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কর্তাদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে লালবাজারের তরফে। জানাতে বলা হয়েছে, ওই শংসাপত্রগুলি আদৌও আসল নাকি ভুয়ো। তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই লালবাজারের তরফে সন্দেহজনক কনস্টেবলদের একটি নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, নিয়োগে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র ব্যবহার নিয়ে আদিবাসী কল্যাণ সমিতি লালবাজারের পাশাপাশি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের কাছেও লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছে। লালবাজার পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানা গিয়েছে।