৯ বছরের নাতনির শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত ঠাকুরদার দেহ পাওয়া গেল রেল লাইনের ধারে। এই ঘটনায় বারাসত পুরসভা এলাকার মালির বাগানে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বুধবার রাতে শ্বশুরমশাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন পুত্রবধূ। তার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন প্রৌঢ়। বৃহস্পতিবার সকালে বারাসতে রেল লাইনের ধারে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, অপমানে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রৌঢ়।
জানা গিয়েছে, বুধবার ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকার নাতনির শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বিকেলে নাবালিকার মা বাড়ি ফিরলে শিশুটি তাঁকে ঘটনার কথা জানায়। এর পর পুলিশে শ্বশুরমশাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বউমা। ওদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নিখোঁজ হয়ে যান বৃদ্ধ। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁর সন্ধান শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালে বারাসত ও হৃদয়পুর স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের ধারে এক প্রৌঢ়ের দেহ দেখতে পাওয়া যায়। ক্ষতবিক্ষত দেহটি প্রথমে শনাক্ত করা যায়নি। পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, দেহটি অভিযুক্ত প্রৌঢ়ের। দুপুরে পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে বাড়িতে তখন কেউ ছিলেন না। নাবালিকার মা গিয়েছিলেন কাজে। ঠাকুমা গিয়েছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আনতে। নাবালিকা অভিযোগ করেছে, ফাঁকা বাড়িতে তাঁকে জামা খুলে আদর করেন ঠাকুরদা। বিকেলে এই অভিযোগ শুনে অবাক হয়ে যান ঠাকুমা। তিনি বলেন, নাতনিকে উনি খুব ভালোবাসেন। খারাপ কিছু করেছেন বিশ্বাস হচ্ছে না। তবে করে থাকলে যেন শাস্তি হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অপমানে আত্মঘাতী হয়েছেন প্রৌঢ়।