• বাংলাজুড়ে সরকারি স্কুলগুলিতে প্রজাপতি পার্ক তৈরি হবে, সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ মার্চ ২০২৫
  • ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌ বিভিন্ন রাজ্যে দেখেছেন মানুষজন। বাংলার বেশ কয়েকটি জায়গাতেও তা আছে। তবে সংখ্যায় অত্যন্ত কম। আর বিশ্বের একাধিক বিমানবন্দরেও এমন নজির রয়েছে। এই পার্কগুলির ভিতরেই এক গাছ থেকে অন্য গাছে উড়ে বেড়ায় প্রজাপতি। তার জেরে প্রজনন বাড়ে। এবার এই ধরণের ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌ সরকারি স্কুলগুলিতে গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রকৃতির ভারসাম্য যেমন বজায় থাকবে তেমন জীববৈচিত্র‌্য নিয়ে জানাও যাবে। স্কুলপড়ুয়ারা শিক্ষা লাভ করবে। সুতরাং একসঙ্গে দুটি লাভ হবে।

    একাধিক জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে কমছে প্রজাপতির সংখ্যা। তার ফলে প্রভাব পড়বে প্রকৃতির ভারসাম্যে। তাই এই আবহে জীববৈচিত্র‌্য বাঁচাতে পরাগ মাখা প্রজাপতি নিয়ে তৈরি হবে ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌। এই ঘটনা ঘটলে তখন পরাগমিলন হবে। আর সেটা হলেই ফুল–ফলের সংখ্যা বাড়বে। প্রজাপতির সংখ্যা কমলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপর প্রভাব পড়বে। তাই এবার প্রজনন বাড়াতে সরকারি স্কুলগুলিতে ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি উদ্যোগের জেরে বাংলায় কিছু প্রজাপতি পার্ক গড়ে উঠেছে। নিউটাউন থেকে শুরু করে রাজাভাতখাওয়া–সহ নানা জেলায় সরকারি উদ্যোগেও ১১টি ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌ তৈরি হয়েছে। এবার সেই পার্ক গড়ে উঠছে সরকারি স্কুলেও বলে খবর।


    ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌ গড়ে ওঠা ভাল বলেই সকলে মত দিচ্ছেন। বিশেষ করে যাঁরা পরিবেশবিদ তাঁরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। রাজ্য জীববৈচিত্র‌্য পর্ষদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সরকারি স্কুলগুলির মধ্যে ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌ গড়ে উঠলে প্রজাপতির সংখ্যা বাড়বে। আবার স্কুলেই প্রজাপতির সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে পারবে পড়ুয়ারা। শিক্ষকরা তা পড়ুয়াদের গল্পের মতো করে পাঠ দেবেন। পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনকরা সময়ে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ প্রজাপতির সংখ্যা দিন দিন কমছে। জানা গিয়েছে, ২০২৪–২৫ আর্থিক বছরে বাংলায় ৮৪টি স্কুলে ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সবই মূলত জেলায়।

    জেলায় জমি পাওয়া সহজ। তাছাড়া স্কুলগুলির সঙ্গে থাকা মাঠে ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌ গড়ে তোলা সম্ভব। কিন্তু কলকাতায় এই অসুবিধা আছে। তাই স্কুলের সঙ্গে ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌ গড়ে তোলা বেশ চাপের। যে সব সরকারি প্রাইমারি এবং হাইস্কুলে জমি আছে সেখানেই তৈরি হবে এই ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম থেকে শুরু করে ফাঁসিদেওয়া, ময়নাগুড়ি, ফালাকাটার স্কুলেও তৈরি হবে এই ‘‌বাটারফ্লাই পার্ক’‌ বা ‘‌প্রজাপতি পার্ক’‌। এই বিষয়ে জীববৈচিত্র‌্য পর্ষদের চেয়ারম্যান হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ বলেন, ‘প্রজাপতি সংরক্ষণে দু’ধরনের গাছের প্রয়োজন হয়। একরকম গাছ থেকে প্রজাপতি মধু সংগ্রহ করে। অন্য গাছে প্রজাপতি ডিম পাড়ে। এই দু’ধরনের গাছ এখন স্কুলে লাগানো হচ্ছে।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)