• ট্রলি ব্যাগে দেহাংশ গায়েবের পুনর্নির্মাণ, পাড়ার মধ্যে হুবহু সে দিনের ঘটনা ঘটালেন মা-মেয়ে
    এই সময় | ০৬ মার্চ ২০২৫
  • আহিরীটোলা ঘাটে ট্রলি ব্যাগে দেহ উদ্ধারের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হলো। মধ্যমগ্রাম বীরেশপল্লির যে পথ ধরে মা-মেয়ে পিসি শাশুড়ির দেহ নিয়ে বেরিয়েছিল, সেই পথেই এ দিন চলল পুনর্নির্মাণ পর্ব। ইতিমধ্যেই কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেছে মা আরতি ঘাষ, মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারও করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র।

    আরতি ও ফাল্গুনীকে নিয়ে এ দিন মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লি, দোলতলা-সহ এলাকার যে রাস্তা ধরে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে সেই সব জায়গায় পুনর্নির্মাণ চলে। ঘটনার দিন মা-মেয়ে, যা যা করেছিলেন, এ দিনও তাই তাই করতে হয় ক্যামেরার সামনে।

    পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষকে খুন করে স্থানীয় যে পুকুরে ধারাল বটি ফেলেছিলেন আরতি, এ দিন তাও দেখান। তবে আসল বটির জায়গায় ছিল এ দিন ছিল থার্মোকলের বটি। শুধু আরতি ও তাঁর মেয়েই নন, এ দিন ডাক পড়েছিল রাধানাথ হালদার নামে সেই ভ্যান চালকের। যাঁর ভ্যানে নীল ট্রলি ব্যাগটি নিয়ে গিয়েছিলেন আরতি ও ফাল্গুনী। ডাক পড়েছিল ট্যাক্সি চালক শ্যামসুন্দর দাসেরও।

    ঘটনার দিন ভ্যানে দোলতলা মোড় এসেছিলেন মা ও মেয়ে। সেখান থেকে ট্যাক্সি ধরে কুমোরটুলি। এ দিন সবটা রেকর্ড করেন মধ্যমগ্রাম থানার তদন্তকারীরা। তবে ভ্যান চালক রাধানাথ হালদার জানান, মা-মেয়ে ভ্যান চালককে ঘটনার দিনের মতোই ১৩০ টাকা ভাড়া মেটালেও এর বাইরে কিছু পাওয়া যায়নি।

    ট্যাক্সিচালক শ্যামসুন্দর দাস জানান, সে দিন কুমোরটুলি ঘাটে যাওয়ার জন্য ৭০০ টাকা চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মা-মেয়ে ৫০০ টাকা দেবেন বলেন। পরে ৬০০ টাকায় ভাড়া ঠিক হয়। ৩২-৩৩ বছর ধরে গাাড়ি চালাচ্ছেন, এমন অভিজ্ঞতা হবে, তা তিনি ভাবতেও পারেননি।

    এ দিন যখন মা-মেয়েকে নিয়ে তদন্তকারীরা পাড়ায় এ দিক ও দিক ঘুরছে, এলাকার লোকজনের উৎসুক চাহুনি। আরতি, ফাল্গুনী কী ভাবে এই কাজ করল, তা চাক্ষুষ করতে বাড়ির সামনে, দোকানের ধারে এ দিন জটলা ছিল চোখে পড়ার মতো।

  • Link to this news (এই সময়)