‘ভূতুড়ে ভোটার’ ধরতে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে বৈঠক করেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কমিটির প্রথম বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোটার কার্ডেও ‘ইউনিক আইডি’ চালুর দাবি জানায় তৃণমূল কংগ্রেস।
এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় – ১. পশ্চিমবঙ্গে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই, এমন নাগরিকদের নামগুলিকে আলাদা করে নথিভুক্ত করতে হবে। ২. একই EPIC নম্বরের আলাদা ভোটার পাওয়া গেলে তার পৃথক তালিকা তৈরি করতে হবে। ৩. ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রতিটি বিধানসভায় প্রতিটি পার্টে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভোটার তালিকার স্ক্রুটিনি করতে হবে। ৪. অন্যায়ভাবে যে সব নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, তাঁদের নথিভুক্তিকরণ করতে হবে। ৫. অনলাইনে যে নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলি বিশেষ্ভাবে নজর দিতে হবে।
রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর নেতৃত্বে রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে যান। সেখানে ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে দলের বক্তব্য জানিয়ে আসা হয়। মন্ত্রী ফিরহাদ জানান, আধার কার্ড, পাসপোর্টে যেমন ইউনিক আইডি থাকে, তেমন ভাবে ভোটার কার্ডেও ইউনিক আইডি চালু করতে হবে। একই এপিক নম্বরে ভিন রাজ্যে দুই ভোটার কার্ড রাখা চলবে না।
প্রসঙ্গত, নেতাজি ইন্ডোরের মহাসমাবেশ থেকেই ‘ভূতুড়ে ভোটার’ নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় ভুয়ো ভোটার ধরতে কর্মীদের বিশেষ নির্দেশিকা দেন তৃণমূল নেত্রী। তৈরি করে দেওয়া হয় কোর কমিটি। এ দিন জেলাভিত্তিক কোর কমিটিও গঠন করে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, চেয়ারম্যান, বিধায়ক, সাংসদ, জেলার শাখা সংগঠনের সভাপতি, ব্লক ও টাউনের সভাপতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে এই কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।