জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'আবার শূন্য রানে আউট হয়ে যাবেন না তো'? যাদবপুর কাণ্ডে এবার বামেদের কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। ফেসবুকে লিখলেন, 'শেষমেষ খেলতে রাজি হয়েছেন দেখে ভালো লাগল'।
এদিন ফেসবুকে দেবাংশু লেখেন, 'SFI বলছে 'চালিয়ে খেলা হবে'। খুব ভালো কথা। আমরা তো কবেই বলেছি খেলা হবে। শেষমেষ খেলতে রাজি হয়েছেন দেখে ভালো লাগল। কিন্তু প্রশ্নটা তো এখনো একই.. আবার শূন্য রানে আউট হয়ে যাবেন না তো? সিপিএমের কনফিডেন্স দেখে কদিন আগে হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে পাকিস্তানের আবরার আহমেদের এই বিখ্যাত ছবিটি মনে পড়ে যাচ্ছে'!
ঘটনাটি ঠিক কী? যাদবপুর কাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গ্রেফতারি দাবিতে পথে বামেরা। বস্তুত, ঘটনার পরের দিনেই রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল SFI। সেই ধর্মঘটে দিনভর অশান্তি চলে দিকে দিকে। SFI-র রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে বার্তা দেন, 'চালিয়ে খেলো সবাই! রাজ্যের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুনশান ক্যাম্পাস। করিডোরে, গেটে এসএফআই। বহিরাগতদের নো এন্ট্রি! কেউ আটকাতে এলে, তাদের আটকে দাও! যেভাবে আটকাতে হয়, সেভাবেই'।
এর আগে, যাদবপুর কাণ্ডে আরাবুল ইসলামের প্রসঙ্গ তুলে বামেদের নিশানা করেছিলেন দেবাংশু। তাঁর অভিযোগ, 'শিক্ষামন্ত্রীর দিকে অশোভন ইঙ্গিত করা হয়েছিল'। বলেছিলেন, 'আমার একটা সহজ প্রশ্ন, সিপিএমের বন্ধুদের কাছে, SFI-র দাদা দিদিদের কাছে। কয়েক দশক আগে যখন তৃণমূল কংগ্রেসেরই কোনও এক প্রাক্তন নেতার বিরুদ্ধে কোনও এক শিক্ষিকা, শিক্ষিকার খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। সেই ঘটনা নিয়ে আমাদের বিরোধীরা ১০ থেকে ১৫ বছর পরেও আলোচনা করেন। কিন্তু আজকের দিনে আমাদের বিরোধীদের, বিশেষ করে SFI-র সদস্যদের, মহম্মদ সেলিম বা সুজন চক্রবর্তীদের অধ্যাপকদের হেনস্তা করা কথা শুনছি না। যে কাজ আরাবুল ইসলাম করেছিল, সে সময়ে নিন্দনীয় ছিল। আজকে যখন SFI-র গুন্ডারা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই কাজ করল। সিপিএম, SFI অন্য বামপন্থী বন্ধুরা চুপ কেন'?
রাজ্য়ে তখন সদ্য ক্ষমতা এসেছে তৃণমূল। উত্তর ২৪ পরগনার ভাঙড় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন তত্কালীন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। ওয়েবকুটার প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে কলেজের ভুগোল শিক্ষিকার সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েন তিনি। বচসা চলাকালীন ওই শিক্ষিকাকে লক্ষ্য আরাবুল জগ ছুঁড়ে মেরেছিলেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি অবশ্য আরাবুলকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল।