সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভূতুড়ে’ ভোটার ইস্যুতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। গোটা বিষয়টা বিজেপির ভোটে জেতার কৌশল বলে দাবি করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এসবের মাঝেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তাঁদের দাবি, চক্রান্ত চলছে। তা রুখতে পাসপোর্ট, আধার কার্ডের মতো ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর রাখতে হবে ভোটার কার্ডেও।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় দাবি করেছিলেন ভুয়ো ভোটার ব্যবহার করে ভোট বাড়িয়ে বিধানসভায় জেতার চেষ্টা করছে বিজেপি। ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের নাম তোলা হচ্ছে বাংলার ভোটার লিস্টে এমন দাবি করেছিলেন তিনি। বক্তব্যের স্বপক্ষে বেশ কিছু নামও প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে ‘ভূতুড়ে’ ভোটার শনাক্ত করতে একটি কমিটিও গড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এদিকে কমিশন জানিয়েছে, এক এপিক নম্বর থাকতেই পারে দুই রাজ্যের দুই বাসিন্দার। সেক্ষেত্রে কেউই ভুয়ো ভোটার নয় বলেও সাফ জানানো হয়েছে। কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূল। আধার কার্ড বা পাসপোর্টে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর থাকলে ভোটার কার্ডে তা হবে না কেন, সেই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে কমিশনের দপ্তরে যান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেদের দাবি জানিয়ে কমিশনের দপ্তর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা। বলেন, “ঘুমন্ত কমিশনকে জাগাতে তৃণমূলের এই অভিযান। বিধানসভা ভোটে মাটি শক্ত করতে বিজেপি ভুয়ো ভোটার ঢোকাচ্ছে বাংলায়। তৃণমূল এর বিরুদ্ধে লড়বে।” এরপরই তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা দাবি করেন, পাসপোর্টের মতোই ইউনিক নম্বর রাখতে হবে ভোটার কার্ডেও। অর্থাৎ একটি এপিক নম্বর হবে কেবলমাত্র একজনেরই।