রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভায় লাফিয়ে বাড়ছে ভোটার, BJPর তথ্যে চোখ উঠবে কপালে
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ মার্চ ২০২৫
রাজ্যে মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে ভোটার। উলটো দিকে যে সব বিধানসভা এলাকায় অবাঙালি থাকেন সেখানে ভোটার বৃদ্ধির হার সব থেকে কম। গত ৬ বছরে ভোটার বৃদ্ধির পরিসংখ্যান তুলে ধরে এই দাবি করল রাজ্য বিজেপি। উল্লেখযোগ্যভাবে এই সময়ে যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটা বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ তার মধ্যে রয়েছে কলকাতার কসবা আসনটি। যে আসনের মধ্যে রয়েছে বহুচর্চিত গুলশন কলোনি।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তথ্য তুলে ধরে বিজেপি মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত রাজ্যে গড় ভোটার বৃদ্ধির হার ৮.৬৯ শতাংশ। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৬টি আসনে ভোটার বৃদ্ধির হার রাজ্যের গড়ের থেকে বেশি। এই ১৩৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮২টি কেন্দ্র মুসলিম অধ্যুষিত বলে দাবি বিজেপির। উলটো দিকে রাজ্যের ১৫৮টি কেন্দ্রে ভোটার বৃদ্ধির হার গড়ের থেকে কম। তার মধ্যে মাত্র ১৩টি মুসলিম অধ্যুষিত। বাকি ১৪৫টি আসন হিন্দু অধ্যুষিত।
বিজেপির প্রকাশ করা তথ্যে জানিয়েছে, রাজ্যে সব ভোটার বৃদ্ধির হার সব থেকে বেশি রাজারহাট - নিউটাউন আসনে। সেখানে ভোটার বেড়েছে ১৯.৯৬ শতাংশ। জগন্নাথবাবুর দাবি, নিউটাউনের বিস্তীর্ণ ফাঁকা এলাকায় রোহিঙ্গাদের এনে বসিয়েছে তৃণমূল। যার জেরে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ভোটার সংখ্যা। এছড়াও বারুইপুর পূর্ব আসনে ভোটার বৃদ্ধির হার প্রায় ১৫ শতাংশ। সোনারপুর উত্তরে ১৫.১৭ শতাংশ। সুজাপুরে ১৫.০১ শতাংশ। মন্ত্রী জাভেদ খানের কেন্দ্র বলে পরিচিত কসবায় ভোটার বৃদ্ধির হার প্রায় ১৩ শতাংশ। এই এলাকাতেই রয়েছে বিতর্কিত গুলশন কলোনি।
এছাড়াও বারুইপুর পশ্চিম, ক্যানিং পূর্ব, সামসেরগঞ্জ, সুতি, ইসলামপুরের মতো মুসলিম অধ্যুষিত আসনে ভোটার বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক বেশি।
বিজেপির দাবি, উলটো দিকে মমতার নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর, লাগোয়া কেন্দ্র রাসবিহারী ও কাশীপুর - বেলগাছিয়ার মতো অবাঙালি অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটার বৃদ্ধির হার অস্বাভাবিক কম। সেখানে ভোটার বেড়েছে ২ - ৩ শতাংশ। বিজেপির দাবি, এই তথ্যই স্পষ্ট করে, বিজেপির বিরুদ্ধে অভাবাঙালিদের নাম অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় তোলার অভিযোগ ভুয়ো। উলটে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারদের নাম তুলছে তৃণমূলই।