• গরম মোম ঢেলেছিল নাকি আনতে বলেছিল? বাম ছাত্রীর পিটিশনের বয়ানে প্রশ্ন
    প্রতিদিন | ০৭ মার্চ ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: মেদিনীপুরে বাম ছাত্রীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়াল তাদের দাখিল করা মামলার বয়ানে। বুধবার ডিএসও-র ছাত্রীরা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের গায়ে গলানো মোম ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। এসএফআইয়ের এক ছাত্রীর দাখিল করা পিটিশনের বয়ানে আবার শুধু মোম আনতে বলে ভয় দেখানোর কথা লেখা। এই বিষয়টিই তুলে ধরেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। বুধবার তিনি বলেন, “পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বামপন্থী একটি দলের জেলা নেতারা এটাকে ইস্যু করার চেষ্টা করছেন।”

    যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মঘটে নেমে পুলিশি হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ তুলেছিলেন ডিএসও-র চার ছাত্রী। একই অভিযোগ এসএফআইয়ের। তার ভিত্তিতেই মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। সোমবার যার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। কিন্তু অভিযোগের আদৌ কোন কথাটা সত্যি তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে এদিন এক্স হ্যান্ডলে পিটিশনের কপির একটি অংশ পোস্ট করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পিটিশনের বয়ানে বাম ছাত্রীর করা অভিযোগে দেখা যাচ্ছে, শুধু মোম এনে ভয় দেখানোর কথা বলা। এখানেই কুণালের প্রশ্ন, ‘ছাত্রীর অভিযোগ পুলিশ গায়ে গরম মোম ঢেলে দিয়েছিল। হাই কোর্ট রিট পিটিশনে বলা হল, পুলিশ মোমবাতি আনতে বলেছিল। কোনটা সত্যি?’

    পুলিশ সুপার ধৃতিমান মেদিনীপুর মহিলা থানার আইসি স্বাতী বারিকের একটি ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে একইসঙ্গে বলেছিলেন, ‘ভাইরাল ভিডিওর বিষয় জানি না, তবে একটি ভাইরাল অডিও আমাদের কাছে আছে যেখানে বামপন্থী ওই দলের এক সাধারণ সম্পাদক বলছেন, একটা ইস্যু পেয়েছি। পুলিশকে চেপে ধর। আইসির নামে অভিযোগ কর। হাই কোর্টে নিয়ে যা। পুলিশকে হ্যারাস কর।’

    পুলিশ সূত্রেই খবর, অডিওটি সিপিএম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক বিজয় পালের। যদিও বিজয় পালের দাবি, এ ধরনের কথা তিনি কাউকে বলেননি। অন্যদিকে, পিটিশনের বয়ান নিয়ে ডিএসও-র রাজ্য সভাপতি মণিশংকর পট্টনায়েকের দাবি, “যে পিটিশন কোর্টে জমা পড়েছে সেটি ডিএসও-র ছাত্রীদের নয়। সম্ভবত অন্য কোনও বাম দলের ছাত্রীর। ডিএসও-র ছাত্রীরা যা অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ সত্য।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)