জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাবালিকা নাতনিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল দাদুর বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই পলাতক ছিল দাদু। সেই দাদুর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ মিলল রেললাইনের ধারে। এমনই অবস্থা ছিল দেহের, যে শনাক্ত পর্যন্ত করা যাচ্ছিল না। পুলিস জানিয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই প্রৌঢ়। ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই প্রৌঢ়। দেহ ছিটকে পড়ে ৫০ ফিট দূরে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে।
বারাসত পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ড। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুরে। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে ওই নাবালিকার মা যখন পুরসভায় একটি কাজে গিয়েছিলেন, তখন ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকা নাতনির শ্লীলতাহানি করেন দাদু। মা-ঠাকুমা ফিরে এলে কাঁদতে কাঁদতে সব কথা খুলে বলে নাবালিকা। এরপরই নাবালিকার মা মানে অভিযুক্তের পুত্রবধূ বারাসত থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ঠাকুরমাও কাঁদতে কাঁদতে জানান যে, যদি তাঁর স্বামী দোষী হয়, তবে তাঁর যেন কঠোরতম শাস্তি হয়।
এরপরই অভিযুক্ত দাদুর শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিক্ষোভে সরব হন তাঁর পড়শিরাও। এদিকে নাতনিকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পর-ই নিখোঁজ হয়ে যান দাদু। পেশায় ঘুগনি বিক্রেতা ছিলেন অভিযুক্ত প্রৌঢ়। তারপরই বৃহস্পতিবার দুপুরে রেললাইন থেকে ওই প্রৌঢ়ের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, বনগাঁ লোকালের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই প্রৌঢ়! বনগাঁ লোকাল বারাসত স্টেশন ছাড়তেই আচমকা ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন অভিযুক্ত দাদু।
ট্রেনের ধাক্কায় দেহ ছিটকে পড়ে প্রায় ৫০ ফিট দূরে। ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। দেহ এতটাই ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল যে প্রথমে কেউ চিনতে পর্যন্ত পারছিলেন না। পরে পরিবারের লোকেরা দেহ শনাক্ত করে। পুলিস জানিয়েছে, নিজের কুকর্মের লজ্জায় ও অপমানেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই দাদু। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে পাড়ার মানুষ ওই দাদুর মৃতদেহ পর্যন্ত পাড়ায় ঢুকতে দেবে না বলে কঠোর সিদ্ধান্ত নেন। তাই ময়নাতদন্ত শেষে দেহ পাড়ায় বা বাড়িতে না নিয়ে গিয়ে সোজা শ্মশানঘাটে এসে শেষকৃত্য করা হয়। ওদিকে ইতিমধ্যেই ওই নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছে।