হাতির পদপিষ্ট হয়ে সেনা আধিকারিকের মৃত্যুর পর বন্ধ মহড়া, বিশ বাঁও জলে রেল প্রকল্প
প্রতিদিন | ০৭ মার্চ ২০২৫
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: রেলের এলিফ্যান্ট ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেমের মহড়া চলছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। সেসময় কুনকি হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বনকর্মী, প্রাক্তন সেনা আধিকারিক সন্দীপ চৌধুরীর। সেই ঘটনার পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজাভাতখাওয়ায়। আর ওই ঘটনার জেরে আজ শুক্রবার ওই প্রকল্পের মহড়ার কাজ বন্ধ করল রেল। কবে আবার সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে? আদৌ কাজ শুরু হবে কিনা? তাই নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
গতকালের পর আজও রাজাভাতখাওয়াতে ওই প্রকল্পের মহড়া হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেন কাজ বন্ধ থাকল? সেই নিয়ে রেল ও বনদপ্তরের থেকে কোনও বার্তাই দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে, এদিন মৃত সেনা আধিকারিক সন্দীপ চৌধুরীর মৃতদেহ নিতে সেনা জওয়ানরা আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে গিয়েছেন। যে বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন তিনি, সেখান থেকেও প্রতিনিধিরা হাসপাতালে পৌঁছেছেন। আজই ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ নয়ডার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও এদিন বেলা পর্যন্ত মৃতের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছননি বলে খবর।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গলে রেলের এলিফ্যান্ট ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেমের মহড়া চলছিল। সেজন্য আনা হয় দুটি কুনকি হাতি ও ট্রেন। হাতি দুটিকে রেলট্র্যাকে তুলে পরীক্ষা করা হচ্ছিল। কীভাবে ট্রেন এলে তাদের সুরক্ষিত করা যায়। মহড়া দেখতে অসমের মালিগাঁও থেকে এসেছিলেন উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব। তাঁর সামনেই মহড়া চলছিল। কুনকি হাতির পাশেই ছিলেন বনকর্মী, প্রাক্তন সেনা আধিকারিক সন্দীপ চৌধুরী। সেসময় শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারগামী একটি ট্রেন আসছিল ওই রেলট্র্যাক দিয়ে। সেই ট্রেনের হুইসল শুনে চমকে ওঠে জোনাকি নামে একটি কুনকি হাতি। ওই হাতির কাছেই ছিলেন সন্দীপ চৌধুরী। ট্রেনের হুইসল শুনে চমকে উঠে হাতিটি পিছিয়ে যেতেই তার পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই বনকর্মীর।