কর্তৃপক্ষকে অন্ধকারে রেখেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাফার জোনে রেস্তোরাঁ করার অনুমতি বোলপুর পুরসভার। রেস্তোরাঁয় ঢুকতে বেড়তে ব্যবহার করতে হবে বিশ্বভারতীর রাস্তা। কে ওই রেস্তেরাঁকে অনুমতি দিয়েছে তা জানতে চেয়ে পুরসভাকে চিঠি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনের কোর জোনে রয়েছে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ‘দ্বিজবিরাম’। সেই বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে তৈরি হচ্ছে একটি বহুতল নির্মাণ। অভিযোগ উঠেছে, ওই বহুতলেই রেস্তোরাঁ খোলার অনুমতি দিয়েছে পুরসভা। বহুতলটি তৈরি করছেন বোলপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপিতা সুশান্ত ভকতের ছেলে বিকাশ ভকত।
জানা গিয়েছে, এই বহতলটি ব্যবহৃত হবে ব্যবসার কাজে। এই নির্মাণের জন্য বোলপুর পুরসভার তরফে অনুমতিও মিলেছে। এ নিয়েই আপত্তি জানিছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কারণ, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের সীমানা থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা বাফার জোন। স্বাভাবিক ভাবে এই জায়গায় কোনও নির্মাণ করা যায় না। এ ছাড়াও এখানে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হলেও যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতে হবে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের রাস্তা। কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই এই নির্মাণের অনুমতি দেয় পুরসভা। এ নিয়ে পুরসভাকে কড়া চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতীর কর্মসচিব অশোক মাহাতো।
পুরসভার চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষের দাবি, ‘বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যকে আমরা নষ্ট হতে দেব না। এর আগেও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হওয়ায় আমরা তার বিরোধিতা করেছিলাম। এ ক্ষেত্রেও বিশ্বভারতীর চিঠি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। সমস্ত দিক বিবেচনা করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’