৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সরকারি খাস জমিতে বসবাস। জমির কোনও নথি না থাকায় হাতছাড়া হয় একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। এরকমই ৬১২টি পরিবারের সহায়তায় এগিয়ে এল মেদিনীপুর পুরসভা। শুক্রবার থেকে কার্যত ওই পরিবারগুলির হাতে জমির নথি তুলে দেওয়ার জন্য সমীক্ষার কাজ শুরু হলো। পুরসভার উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার মেদিনীপুর শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের শেখপুরা মৌজার দেওয়ানচক এলাকায় শুরু হয়েছে বিশেষ সার্ভে। এই সার্ভে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দ্রানী দাস-সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। এ দিন প্রশাসনের আধিকারিকরা দেওয়ানচক এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। ওই এলাকার প্রতিটি বাড়ির ছবি সংগ্রহ করেন।
জানা গিয়েছে, জমির নথি না থাকায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া বা বাড়ি বিক্রির ইচ্ছে থাকেলও, তা করতে পারতেন না বাসিন্দারা। তবে এবার সমস্যায় পড়া সেই কয়েকশো পরিবারের পাশে দাঁড়াল মেদিনীপুর পুরসভা। পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, ‘মেদিনীপুর শহরের বেশকিছু এলাকার মানুষের কাছে জমির নথি নেই। এর ফলে বহু পরিবারকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। সেই কথা মাথায় রেখেই জমির নথি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হবে বহু পরিবার।’
উল্লেখ্য, দেওয়ানচক বা দেওয়ানবস্তি এলাকার বাসিন্দারা বাম আমলেও জমির নথি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। কিন্তু, কোনও সমাধান হয়নি বলে দাবি। দীর্ঘ ৫০ বছরের সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মৌজার নেতাজিনগর এলাকায় ইতিমধ্যেই সার্ভের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে প্রায় ১১৩টি পরিবারের বসবাস। পাশাপাশি শহরের কর্নেলগোলা মৌজার বেশ কিছু এলাকাতেও হবে সার্ভের কাজ। সেই এলাকায় প্রায় ৬৫টি পরিবার রয়েছে। এছাড়াও, শহরের আরও বেশকিছু এলাকায় সার্ভে করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের এক আধিকারিক।