• দোতলা বাড়ির মালিক পাচ্ছেন আবাস যোজনার বাড়ি, পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ
    এই সময় | ০৮ মার্চ ২০২৫
  • পঞ্চায়েত প্রধানের নিজের কোনও বাড়ি নেই। তিনি নিজে থাকেন তাঁর মায়ের মাটির বাড়িতে। আর সেখানেই আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।  অভিযোগ, বোলপুরের রায়পুর সুপুর  গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন গীতগ্রামে আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। যাঁরা উপযুক্ত এবং এই প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ার যোগ্য তাঁদের বঞ্চিত করে দোতলা বাড়ির মালিককে বাংলার আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ করে শুক্রবার এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান খুশি বাউরির বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ  করে।

    বাংলার আবাস যোজনায় উপযুক্ত ব্যক্তিদেরকেই বাড়ি দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ক্ষেত্রে কোনও রকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি দেওয়া নিয়ে নানা দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ। একই অভিযোগ উঠেছে বীরভূম জেলার রায়পুর সুপুর  গ্রাম পঞ্চায়েতেও।

    এই গ্রাম পঞ্চায়েতের অবিরামপুর এবং নতুন গীতগ্রাম এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপযুক্ত এবং যাঁরা এই প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ার যোগ্য তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। সেখানে এই প্রকল্পে যাঁরা বাড়ি পেয়েছেন তাঁদের অধিকাংশেরই দোতলা এবং বিলাসবহুল বাড়ি আছে। তার পরেও ওই ব্যক্তিরা কী ভাবে এই প্রকল্পে বাড়ি পান এবং বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ার তালিকার তাঁদের নাম ওঠে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।

    এলাকার বাসিন্দা জরিনা বিবির দাবি, এই প্রকল্পে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর কাছে ৩০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন এলাকার শাসকদলের নেতা। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে টাকা দিতে না পারার কারণেই তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।  স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শাসক দলের কিছু নেতার মদতেই যাঁদের দোতলা বাড়ি আছে তাঁরা আবার আবাস যোজনায় বাড়ি পাচ্ছেন। এই নিয়ে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা।

    বাসিন্দারা জানান, তাঁরা এই নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে। তবে তিনি গ্রামবাসীদের কথা শুনতে চাননি বলেও দাবি তাঁদের। এ নিয়ে শুক্রবার সেখানে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।

    এলাকার যে ব্যক্তিরা এই প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন উমা মন্ডল। তাঁর দোতলা বাড়ি রয়েছে বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের। যদিও উমার দাবি, তিনি যেখানে থাকেন তা তাঁর নিজের বাড়ি নয়।

    স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জানান, তাঁরও নিজের বাড়ি নেই। তিনি থাকেন তাঁর মায়ের মাটির বাড়িতে। তাঁর দাবি,  এই  নিয়ে  বিডিও অফিস থেকে লোকজন এসেছে সমীক্ষা করেছেন। তাঁদের সার্ভে রিপোর্টের ভিত্তিত সবকিছু দেখে বিডিও অফিস থেকে কারা এই প্রকল্পে  বাড়ি পাবেন তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)