কলকাতার সু বিখ্য়াত বিরাট সাউথ সিটি মল কিনে নিতে পারে মার্কিন বিনিয়োগকারী সংস্থা ব্ল্য়াকস্টোন। পূর্বভারতের অন্যতম বৃহত্তম মল এই সাউথ সিটি মল। একেবারে ঝলমলে এই মল। আর সেই মলই এবার কিনে নিতে পারে মার্কিন বিনিয়োগকারী ওই সংস্থা। ব্লুমবার্গের রিপোর্টে এমনই জানা গিয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে রয়েছে এই মল। এই মলের লিজ দেওয়ার মতো জায়গা রয়েছে প্রায় ৮০০,০০০ বর্গ ফুট।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে দাম উঠছে প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা। তবে সূত্রের খবর, কেনার ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি হয়নি। তবে ওই প্রতিবেদনে সোর্সের কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে যে এক পক্ষ কাল অথবা মাস দুয়েকের মধ্য়ে বিষয়টি ফাইনাল হতে পারে। শ্রীলঙ্কাতে সাউথ সিটির একটা প্রকল্পও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে খবর।
সূত্রের গত কয়েক মাস ধরেই এনিয়ে কথাবার্তা চলছে বলে খবর। কারণ ব্ল্যাকস্টোন কলকাতার মার্কেটে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত আগ্রহী।
১৯৮৫ সালে তৈরি হয়েছিল ব্ল্যাকস্টোন। পিটার জি পিটারসন ও স্টিফেন ও স্কাওয়ার্জম্যান ফার্মগুলিকে একীভূত করে এই ব্ল্যাকস্টোনের রূপ দেন।
২০০৮ সালে সাউথ সিটি মলের পথচলা শুরু হয়েছিল। একাধিক রিয়েল এস্টেট ফার্ম এই মলটির দায়িত্বে ছিল। এই মলটি ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বন্ধ ছিল সাময়িকভাবে। প্রায় ১৮ মাস বন্ধ ছিল এই মল। সূত্রের খবর, এই মলে সপ্তাহের অন্যান্য দিন প্রায় ৩০,০০০-৪০,০০০ মানুষ আসেন। আর সপ্তাহান্তে আসেন ৭৫,০০০ থেকে ১.৫ লাখ মানুষ। মাসে অন্তত ১৬ লাখ মানুষ আসেন এই শপিং মলে। সেই মলই এবার অধিগ্রহণ করতে পারে ব্ল্যাকস্টোনের মতো সংস্থা। তবে এখনও পর্যন্ত এনিয়ে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। মোটামুটি কত দামে এটা অধিগ্রহণ করা হতে পারে তা নিয়ে একটা ইঙ্গিত মিলেছে ওই প্রতিবেদনের মাধ্য়মে।
সূত্রের খবর, প্রায় ১২.৫ লাখ বর্গফুট এলাকায় রয়েছে এই সাউথ সিটি মল। এর মধ্য়ে ব্যবসার জন্য জায়গা রয়েছে প্রায় ৬.৫ লাখ বর্গফুট। এখানে বছরে অন্তত ২ কোটি মানুষ আসেন। বছরে এখানে প্রায় ১৮০০ কোটির লেনদেন হয় বলে খবর। পুজোর আগে একেবারে ভিড়ে গিজগিজ করে এই সাউথ সিটি মল। বহু মানুষের ভিড়ে একেবারে গমগম করে।