ছোট্ট জমিতেও বাড়ির অনুমোদন মিলবে, অনুমতির কথা লিখতে হবে বড় করে, কত ছাড় দেবেন?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ মার্চ ২০২৫
কলকাতায় একের পর এক ক্ষেত্রে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। এবার এনিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার। এমনকী যারা ভাবছেন ছোট জায়গায় বাড়ি করবেন তাঁদের জন্যও এবার বিরাট সুযোগ দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, আমাদের মিটিংয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছিলাম। তারা একটা সুপারিশ করেছে। ছোট্ট জায়গায় কীভাবে বাড়ি করা যাবে। সাত ছটাক বা ৩০০ স্কোয়ারফিট থেকে নিয়ে ১১ ছটাক অর্থাৎ ৪৫০ স্কোয়ার ফিট সেখানে আমরা সামনের দিকে ১ ফুট, দু সাইডে ১ ফুট করে, পেছনের দিকে তিন ফুট করে ছাড় দিতে হবে। এতে স্যাংশন দেব। ১১ ছটাক থেকে ১ কাঠা তিনতলা বাড়ির অনুমোদন দেব। সামনে দেড় ফুট, দু সাইডে দু ফুট করে ও পেছনের দিকে চার ফুট ছাড়তে হবে। এতে তিনতলার পারমিশন দেব। ১ কাঠা থেকে ২ কাঠা ওখানেও তিনতলার পারমিশন দেব। তিন কাঠা পর্যন্ত তিন তলা পর্যন্ত অনুমোদন দেব। ১৫ দিনের মধ্যে পারমিশন দেব। প্লিন্থ লেবেল হলে পরিদর্শনে যাব। কলোনি ও বস্তি এলাকায় যারা বাড়ি করে ফেলেছেন তাদের ক্ষেত্রে ফিজও অনেকটাই কমানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, প্রত্যেকটা নির্মীয়মান বাড়িতে এলবিএসের নাম, কত তলা, কত স্কোয়ার ফিট অনুমোদন, সেটা ডিসপ্লে করতেই হবে। কলকাতার সর্বত্র এটা করতে হবে। প্ল্যানেও করতে হবে, সমস্ত এলবিএসে লিখতে হবে। কত তলা স্যাংশন , আর্কিটেক্টের নাম সেটা পরিস্কার করে লিখতে হবে। একেবারে ছোট করে লিখে দিলাম এটা চলবে না। ছোট্ট করে লিখলাম এটা হবে না। যদি এটা না থাকে তবে এটা ধরে নেব যে সেটা বেআইনী। তিনি বলেন, ৬ বাই তিন এই ধরনের ফ্রেম করতে হবে।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, আদিগঙ্গার পাশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সবাইকে পুনর্বাসন দেব। আদি গঙ্গার পাশে বেড়া দেব। সেখানে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। সেখানে গাছ বসানো হবে।
মেয়র বলেন, অস্বাভাবিক কিছু আইন হলে সেটা থেকে মানুষ ফাঁক বের করে। সিটিজেন ফ্রেন্ডলি করতে হবে। পে উইথ স্মাইল। এবার করদাতার পরিমাণ বেড়েছে ২০ হাজার বেড়েছে। বিন্দু বিন্দু জল দিয়ে তৈরি হয় সিন্ধু।
তিনি বলেন, ২০ হাজার স্কোয়ার মিটারের উপরে দূষণের ক্লিয়ারেন্স উল্লেখ করতে হবে। বড় প্রকল্পের ক্ষেত্রে।