মেহেতাব, লালকমল, ডেনসন, দেবদাসরা আবার ছুটছেন ফুটবলকে সঙ্গে নিয়ে। এখন চুঁচুড়ায় বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরা। ওই প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ড্রিবলিং থেকে শুরু করে ফুটবল নিয়ে নানা কসরৎ করছেন তাঁরা। চুঁচুড়ায় এখন যাঁরা এই বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরা সবাই প্রাক্তন ফুটবলার। কিন্তু কী এমন হয়েছে যে তাঁদেরকে আবার নতুন করে প্রশিক্ষণ নিতে হচ্ছে? জানা গিয়েছে, আগামীদিনে ফুটবল কোচ হওয়ার জন্য এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাঁরা।
জাতীয় ফুটবলে ক্লাব কোচিং করতে গেলে লাইসেন্স প্রয়োজন। তাই এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের ফুটবল কোচিং চলছে। সেখানেই ‘বি’ ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য ট্রেনিং নিচ্ছেন তাঁরা। এই ক্যাম্প শুরু হয়েছে ৩ মার্চ এবং চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। এই ক্যাম্পেই যোগ দিয়েছেন মেহেতাব, লালকমলদের সঙ্গে পঁচিশ জন প্রাক্তন ফুটবলার।
এই ট্রেনিংয়ের সঙ্গে যুক্তরা জানান, সেখানে প্রাক্টিক্যাল এবং থিওরি দুই ভাবেই কোচিং শেখানো হচ্ছে। এখন হচ্ছে বি ডিপ্লোমা প্রথম মডিউলের ট্রেনিং। এই ক্যাম্পের দুমাস পর দ্বিতীয় মডিউল হবে। এই ক্যাম্প এবং কোচিংয়ের দায়িত্ব নিয়ে পাঠানো হয়েছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের হেড কোচ (এডুকেশন) বিবেক নাগুল এবং ফুটবল ইন্সট্রাক্টর সেলিম পাঠানকে।
বিবেক জানান, যাঁরা কোচিং শিখছেন তাঁদের অনেকেই আইএসএল আই লিগ খেলেছেন। তাঁদের খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এখন প্রাকটিক্যাল সেশনে পজিশন স্পেসিফিক ট্রেনিংয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ট্রেনিং শেষে প্রাকটিক্যাল ও থিওরিটিক্যাল পরীক্ষা হবে। দু’মাস পর মডিউল বি কোর্স হবে। সেখানেও একই রকম ভাবে ট্রেনিং চলবে। যারা ভালো করবেন তাঁরা বি ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট নিয়ে তাঁরা ক্লাবে কোচিং করাতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে তাঁরাই এ লাইসেন্স পেতে পারেন।
এখানে তাঁরা কী শিখছেন তা জানিয়েছেন মেহেতাব হোসেন। তিনি জানান, বাংলার দলগুলি এখন সাফল্য পাচ্ছে। এই জন্য কোচের যে ভূমিকা আছে তাও স্বীকার করেন তিনি। মেহেতাব জানান, ভালো ফুটবলার হওয়া আর ভালো কোচ হওয়া এক নয়। তার জন্য ভালো করে শিখতে হয়। এখানে তাঁরা সেটাই শিখছেন।
ট্রেনিং ক্যাম্পের দায়িত্বে রয়েছে আইএফএ। তাদের প্রতিনিধি অমর বোস জানান, এখন আইএফএর মাঠের অভাব আছে। তাই হুগলি জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনকে বলা হয়েছিল মাঠ দিয়ে সাহায্য করার জন্য। রাজ্যের যাঁরা আগে লাইসেন্স নেওয়ার জন্য ট্রেনিং নিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই এখন অন্য রাজ্যে গিয়েও কোচিং করছেন।