যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় পুলিশ তলব করেছে সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তিনি যাদবপুর থানায় যাবেন বলে সূত্রের খবর। বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তি সংক্রান্ত ছবি এবং ভিডিয়ো ফুটেজ সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় প্রথম থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। নিজেদের মতো করে যুক্তি খাড়া করেছে সব রাজনৈতিক দল। সাংবাদিক বৈঠকে ঘটনার দিনের একগুচ্ছ ভিডিয়ো সামনে এনে সৃজন দাবি করেছিলেন, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িই ধাক্কা দিয়েছিল ইন্দ্রানুজকে। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশুর বাগবিতণ্ডাও চরমে ওঠে। এ বার সেই ভিডিয়োগুলি নিয়েই তলব করা হলো সৃজনকে।
সৃজন জানিয়েছেন, গত ৬ মার্চ তাঁকে যাদবপুর থানা থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তাঁর কাছে থাকা সমস্ত ছবি এবং ভিডিয়ো ফুটেজ সঙ্গে নিয়ে থানায় যেতে বলা হয়েছে তাঁকে। তদন্তের স্বার্থেই এই তলব বলে জানানো হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যা ৬টায় যাদবপুর থানায় যাবেন এই বাম নেতা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায় কী ভাবে আহত হলেন, তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়িই নীচে পড়েই আহত হয়েছিলেন ওই ছাত্র, দাবি করেছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। পাল্টা সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যও। গত মঙ্গলবার তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, গাড়ির তলায় আড়াআড়ি ভাবে পড়ে থাকা ছাত্রের যে আংশিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ এবং আসল ভিডিয়ো কোথায়? গত বুধবার দেবাংশুকে জবাব দিতে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন সৃজন। সেখানে তিনি দাবি করেন, গাড়ির নীচে চলে আসার কারণেই আহত হন ইন্দ্রানুজ। এসএফআইয়ের রাজ্য দপ্তরে তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে কিছু ভিডিয়োও দেখান তিনি।
যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়েও পাল্টা প্রশ্ন ওঠে। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে ওঠে। এরই মধ্যে সৃজনকে পুলিশের তলব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।