আগুন লেগেছে খড়ের গাদায়। সেই আগুনে পুড়ছেন স্কুটি-সহ চালক। শিউরে ওঠার মতো ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে। শনিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় বাসিন্দাদের। পোড়া খড়ের মধ্যে একটি স্কুটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা এগিয়ে যেতেই নজরে পড়ে একটি পুড়ে যাওয়া দেহ। আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন তাঁরা। এরপর আশেপাশের মানুষজন জড়ো হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও।
এ দিন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পুলিশের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দেহ এবং স্কুটিটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই দেহ নারী না পুরুষের, তা এখনও জানা যায়নি।
কী ভাবে ওই ঘটনা ঘটল, কেউ ইচ্ছে করে খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়েছিলেন কি না, স্কুটি চালক কী ভাবে পুড়তে থাকা খড়ের গাদায় ঢুকলেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। কেউ স্কুটি-সহ চালককে ওই আগুনে ঠেলে ফেলে দেন কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোনও কিছুই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ওই স্কুটির সূত্র ধরে দেহ শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জয়লাল আবেদিন বলেন, ‘স্কুটি-সহ একজন মানুষকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ অনেকেরই। এই ধরনের ভয়াবহ ঘটনা এখানে কোনও দিন ঘটেনি। মনে তো হচ্ছে এটা খুন।’
নুর সরকার নামে অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে ঘটনাটি নজরে আসে। খড়ের মধ্যে দেহটি জ্বলছে। ভয়াবহ সেই দৃশ্য। এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছেন। যে বা যারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তি দেওয়া হোক।'