• মহিলাদের প্রয়োজন ঋতুকালীন ছুটি: শশী
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৮ মার্চ ২০২৫
  • দেশ জুড়ে ঋতুকালীন ছুটির দাবিতে সরব হয়েছেন মহিলারা। আদৌ কি মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি ঋতুকালীন ছুটিও দেওয়া সম্ভব মহিলাদের? এই প্রশ্নই বর্তমানে নানা মহলে আলোচিত হচ্ছে। শুক্রবার সল্টলেকে নারী ও শিশু বিকাশ এবং সমাজকল্যাণ দপ্তর আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’-এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে এই প্রসঙ্গে মতামত প্রকাশ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।

    তিনি জানান, ‘ঋতুকালীন ছুটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারো ভারী কাজ করতে, আবার কারো অফিস যেতে সমস্যা হয়। আমরাও এ বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছি। মহিলাদের সমবেতন দাবির লড়াই বহুদিন ধরে চলছে। এই লড়াইয়ের সঙ্গেই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ঋতুকালীন ছুটির দাবি।’
    উল্লেখ্য, ওড়িশা, বিহার, কেরলে ইতিমধ্যেই কর্মজীবী মহিলাদের জন্য চালু করা হয়েছে ঋতুকালীন ছুটি। সেই পথেই হাঁটার কথা ভেবেছে কর্ণাটক সরকারও। এমনকি দেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি শিল্পগোষ্ঠী এল অ্যান্ড টি-ও তাদের মহিলা কর্মীদের জন্য চালু করছে ঋতুকালীন সবেতন ছুটি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও এ বিষয়ে ভাবতে পারে বলে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিলেন মন্ত্রী শশী।

    নারী পাচার রুখতে কঠোর হতে হবে সমাজকে, নারী দিবসে বার্তা শশীর। তাঁর ভাষায়, ‘পরিচিত মানুষের হাত ধরেই এই ধরণের অপরাধ ঘটে। বিদ্যালয় স্তরে এই সতর্কতার শিক্ষা দেওয়া উচিৎ মেয়েদের। পারিবারিক সাবধানতা এবং শিক্ষা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘ছেলেদেরও দিতে হবে উচিৎ-অনুচিতের পাঠ। শেখাতে হবে মেয়েদের সম্মান করা, সমানধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া, সহমর্মিতা প্রদর্শন।’ নারী ক্ষমতায়নে যে বাংলা এগিয়ে, ছত্রে ছত্রে এদিন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন শশী পাঁজা। তাঁর ভাষায়, ‘বাংলার সমাজ ইতিবাচক বার্তা বহনকারী।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বহু নারী উন্নয়নমূলক প্রকল্প এসেছে যার আলোয় উপকৃত অগণিত মহিলা। আমরা প্রগতিশীল চিন্তাধারা রাখি, নারী-পুরুষ সমানধিকারে বিশ্বাসী আমরা।’ এরপরই আক্ষেপের সুর তাঁর গলায়। মন্ত্রী বলেন, ‘এই সমাজেও যদি বাল্যবিবাহ কিংবা শিশু পাচার হয়, তাহলে সেটি আমাদের অর্থাৎ অভিভাবকদের দোষ, ব্যর্থতা। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নিতে হবে। রাজনৈতিক ভাবে হোক কিংবা মানবিকভাবে, নারী ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করার জন্যই আমরা লড়ছি।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)