নির্বাচন মিটলে দেখা মেলে না কিছু রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর। কেবল নির্বাচনের সময়েই কিছু রাজনীতিককে দেখা যায় মাঠে ময়দানে— নাম না করে এভাবেই বিরোধীদের আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তাঁর নিশানায় যে প্রধানত বিজেপিই রয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেকের ভাষায়, ‘কিছু মানুষের কাছে রাজনীতি একটি মরশুমি কাজ মাত্র। কয়েকজন নেতা শুধুমাত্র ভোটের জন্য আসেন, নির্বাচন এলে তাঁরা সাধারণ মানুষের কথা ভাবার ভান করেন এবং ভোট মিটলে তাঁদের আর দেখা যায় না। কিন্তু আমরা আনন্দ, হতাশা, বিপদ, শান্তি— সব ক্ষেত্রে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আর তারই প্রতিফলনই সেবাশ্রয়।’
উল্লেখ্য, জানুয়ারি থেকে ডায়মন্ড হারবারে শুরু হয়েছে সাংসদের বিনামূল্যের স্বাস্থ্য-প্রকল্প ‘সেবাশ্রয়’। তিনমাসব্যাপী এই প্রকল্প বর্তমানে অন্তিম পর্যায়ে পৌঁছেছে। মহেশতলায় চলছে সেবাশ্রয়ের শিবির, যা শেষ হবে আগামী ১৩ মার্চ। এরপর ১৬-২০ মার্চ পর্যন্ত মেগা ফলো-আপ সেবাশ্রয় শিবির আয়োজিত হবে গোটা ডায়মন্ড হারবার লোকসভা জুড়েই। প্রথম দিন থেকেই অভিষেক সেবাশ্রয়ের নিত্যদিনের হিসেব-নিকেশ তুলে ধরেন সমাজমাধ্যমে।
এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। সেবাশ্রয়ের তথ্য তুলেই ‘মরশুমি কাজ’ প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তিনি। এর আগেও গেরুয়া শিবিরকে ‘বাংলা বিরোধী’ থেকে ‘বসন্তের কোকিল’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলায় বারংবার ভোট প্রচারে আসার প্রসঙ্গে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘ভোট এলেই দিল্লি থেকে বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা।’ এবারও নাম না করে বিরোধীদের আক্রমণ অভিষেকের। রাজনীতি যে মরশুমি কাজ নয় তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি, আর এতেই উদাহরণ হিসাবে টেনেছেন সেবাশ্রয়ের প্রসঙ্গ।