• জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে নতুন সদস্য, উত্তরবঙ্গ থেকে ঝাড়গ্রামে ‘পলাশ’
    এই সময় | ০৮ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, ঝাড়গ্রাম: সবুজ শাল জঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশে চিতাবাঘের বংশবিস্তার ভালোই হয়েছিল জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে। পুরুষ চিতাবাঘের অভাবে তা থমকে যায়। শেষে উদ্যগী হলো বনদপ্তর। উত্তরবঙ্গ থেকে নিয়ে আসা হলো একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। বৃহস্পতিবার রাতেই জঙ্গলমহলে পৌঁছয় বাঘটি। বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা চিতাবাঘটির নাম দেন ‘পলাশ’।

    তিনি বলেন, ‘এই সময় চারিদিকে লাল পলাশ। যা ঝাড়গ্রামকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। আগামী দিনে পার্কের সৌন্দর্য্য এই নতুন সদস্যের হাত ধরে বাড়বে তাই চিতাবাঘটির নাম রেখেছি পলাশ।’

    ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে চিড়িয়াখানাটি। ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন,‘চিড়িয়াখানায় এখন একটি হর্ষিণী নামের পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘ রয়েছে। আরও একটি স্ত্রী চিতাবাঘ রয়েছে, যেটি কয়েক মাসের মধ্যেই পূর্ণবয়স্ক হয়ে যাবে। প্রজননের জন্য একটি পুরুষ চিতাবাঘের অভাব ছিল। সেই অভাব পূরণ করতেই উত্তরবঙ্গ থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়েছে।’

    জানা গিয়েছে, বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে আনার পরে পুরুষ চিতাবাঘটিকে দু’দিন নাইট সেলটারে রাখা হয়েছিল। তারপর চিতাবাঘের ইনক্লোজারের একটি ঘরে পাঁচ দিন রাখা হবে। তারপর চিড়িয়াখানায় থাকা অন্যান্য চিতাবাঘের সঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হবে ‘পলাশ’ নামের চিতাবাঘটিকে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে উত্তরবঙ্গ থেকে হর্ষিণী ও সোহেল নামের একটি স্ত্রী ও পুরুষ চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়েছিল। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে প্রথম দু’টি সন্তান প্রসব করলে তাদের খেয়ে ফেলে হর্ষিণী। কয়েক মাসের পরে ফের দু’টি সন্তান প্রসব করে সে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আরও তিনটি সন্তানের জন্ম দেয় হর্ষিণী।

    চিড়িয়াখানার ইনক্লোজারের চিতাবাঘের সংখ্যা হয়েছিল সাতটি। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সোহেল ও তার দুই পুরুষ সন্তানকে উত্তরবঙ্গে পাঠিয়ে দেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আর হর্ষিণী ও তার তিন সন্তানকে রেখে দেওয়া হয়েছিল ঝাড়গ্রামেই। তার মধ্য একটি স্ত্রী চিতাবাঘের মৃত্যু হয়। সোহেল উত্তরবঙ্গে চলে যাওয়ার পর থেকেই সঙ্গী হারা হয়ে পড়েছিল হর্ষিণী। ‘পলাশ’ আসায় চিতাবাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

    এছাড়াও,বয়স্ক পর্যটকদের জন্য বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায়। বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা বলেন,‘চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখার জন্য একটি গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। ১৪ জন যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট রুট ধরে পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখানো হবে পর্যটকদের।’

  • Link to this news (এই সময়)