‘অর্ধেক আকাশ’-এর অধিকারিণীদের দায়িত্বেই এ বার আস্ত একটি রেল স্টেশন। রেল স্টেশনের পরিচালনা করবেন মহিলারা। নারী দিবসে কোচবিহারে লেখা হলো নয়া ইতিহাস। কোচবিহার রেল স্টেশন ৮ মার্চ, ২০২৫ থেকে মহিলা পরিচালিত রেল স্টেশন হিসেবে শুরু করল পথচলা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের প্রথম মহিলা পরিচালিত রেল স্টেশন হিসেবে পরিচিতি পেল কোচবিহার। শনিবার মহিলা রেলকর্মীরা রেল আধিকারিকদের উপস্থিতিতে কেক কেটে স্টেশনের চরিত্র বদলের শুভ সূচনা করলেন। এটাই ছিল নারী দিবসের উপহার।
রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার অভয় গণপত সনপ জানিয়েছেন, এ বার থেকে ২৪ ঘণ্টা এই স্টেশনে মহিলা কর্মীরাই থাকবেন। টিকিট চেকিং স্টাফ থেকে শুরু করে বুকিং স্টাফ, রিজার্ভেশন কাউন্টার স্টাফ, নিরাপত্তা রক্ষীদের দায়িত্ব পালন করবেন কেবল মহিলারাই। নারী শক্তিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এর মূল উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান।
এমন কাজের দায়িত্ব পেয়ে দারুণ ভালো লাগছে বলে জানালেন তনুশ্রী দাস। তিনি মহিলা পরিচালিত কোচবিহার স্টেশনের চিফ রিজার্ভেশন সুপারভাইজার। স্টেশনের নতুন পরিচয়ের অংশ তিনিও। কেক কেটে এই খুশি উদযাপন করলেন কোচবিহার স্টেশনের মহিলা কর্মীরা।
শুধু কর্মীরাই নন, এই উদ্যোগে খুশি মহিলা যাত্রীরাও। কোচবিহার স্টেশনের এই পরিচিতিতে খুশি স্থানীয়রা। পর্যটক অর্পিতা ঘোষ বলছেন, ‘এই খবরটা শুনে খুব ভালো লাগছে। ধন্যবাদ জানাই রেল কর্তৃপক্ষকে। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। মহিলাদের সুরক্ষার দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় উদ্যোগ।’
স্থানীয় বাসিন্দা শিবানী বর্মন বললেন, ‘নারী দিবসে এই খবর পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আসলে অনেক সময় অনেক কথা পুরুষদের বলা যায় না। সেখানে মহিলা কর্মী থাকলে অনেক সুবিধা হয়। আমার শহরের স্টেশন এ বার মহিলারা সামলাবেন জানতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
তবে বাংলায় কোচবিহারই প্রথম মহিলা পরিচালিত স্টেশন নয়। উত্তরবঙ্গের অন্য একটি স্টেশন শিলিগুড়ি টাউনও সামলান মহিলারাই। সেই তালিকায় জুড়ল কোচবিহারও।