• খড়ের গাদায় স্কুটি সমেত জ্বলছিল কার দেহ? হেমতাবাদ কাণ্ডে জানা গেল মৃতের পরিচয়
    এই সময় | ০৮ মার্চ ২০২৫
  • স্কুটি-সহ খড়ের গাদায় পুড়ছিল একজনের দেহ। শনিবার সাতসকালে এই দৃশ্য দেখেই ঘুম ভেঙেছিল উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেই দেহ কার? কী ভাবেই বা তা পুড়ল? সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছিল। এ বার এই ঘটনায় নয়া মোড়। জানা গিয়েছে, দগ্ধ দেহটি বিট্টু ক্ষেত্রির (৩৪)। তাঁর বাড়ি হেমতাবাদের বাঙালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নুরপুর এলাকায়।

    বিট্টু সুদের কারবারি ছিলেন। সঙ্গে গাড়ি কেনাবেচাও করতেন। তাঁর স্ত্রী পাঁচ মাসের গর্ভবতী। এক ছেলেও রয়েছে তাঁর। বিট্টুর দাদা বাবন ক্ষেত্রি বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকেই ভাই নিখোঁজ ছিল। প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল রাত ৮টা সাড়ে ৮টা নাগাদ। এরপরে তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাতে পরিবারের তরফে থানায় মিসিং ডাইরি করা হয়েছিল। রাতে ওর সঙ্গে কী ঘটেছে, তা বুঝে উঠতে পারছি না।’

    বিট্টু সম্পন্ন পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা বাচ্চু ক্ষেত্রি অপসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। বিট্টুকে কি খুন করে দেহ আগুনে পোড়ানো হয়েছিল? উত্তর খুঁজছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই রিপোর্ট এলেই অনেক জবাব মিলবে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।

    তবে গত কয়েকদিন ধরেই ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে ফোনে কোনও অজ্ঞাতপরিচয় কারও সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন বিট্টু, দাবি পরিবারের সদস্যদের। পাশাপাশি দেড় বছর আগে রায়গঞ্জের দেবীনগরে একটি দোকানের জায়গা নিয়েও তাঁর ঝামেলা হয়েছিল একজনের সঙ্গে। ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় সিআইডি তদন্তের দাবি করেছেন মৃতের ভাই ছোটন ছেত্রী। এ দিন ঘটনাস্থলে যান রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পদস্থ কর্তারা। মৃতদেহটি পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সমস্ত নমুনা ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষাও করা হচ্ছে। ব্যবসায়িক শত্রুতার বলিই কি হতে হয়েছে বিট্টুকে? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

  • Link to this news (এই সময়)