• শীঘ্রই উদ্বোধন
    আজকাল | ০৮ মার্চ ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাওড়া ময়দানের কাছে পূর্ব-পশ্চিম বাইপাসের ধারে, দমুরজলা এবং কোণা এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগস্থলে গড়ে উঠছে এক নতুন আকর্ষণ— পঞ্চদীপ মিনার। শহিদ মিনারের দ্বিগুণ উচ্চতা সম্পন্ন এই টাওয়ারটি (১১২ মিটার) খুব শীঘ্রই শহরবাসী এবং পর্যটকদের জন্য খুলে যাবে। হাওড়ার জন্য এটি হতে চলেছে এক অভিনব পর্যটন কেন্দ্র, যা পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে নতুন সংযোজন।

    পঞ্চদীপ মিনারটি হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে এবং IIEST শিবপুরের নকশা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে। এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা।

    টাওয়ারের উচ্চতায় ২০০ বর্গমিটারের একটি পর্যবেক্ষণ ডেক রয়েছে, যা একসঙ্গে ২০০ জন দর্শক দর্শককে জায়গা করে দিতে পারবে। এখানে চারটি টেলিস্কোপ থাকবে, যা ২০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত দৃশ্যমান করবে। দর্শকরা এখান থেকে কলকাতা, নিউ টাউন, সল্টলেক, দমদম বিমানবন্দর, হুগলি এবং হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা উপভোগ করতে পারবেন।

    এছাড়াও, ১০৪ মিটার উচ্চতায় একটি ১৫০ আসনের ঘূর্ণায়মান রেস্তোরাঁ এবং ১০৮ মিটার উচ্চতায় একটি ব্যাঙ্কোয়েট হল থাকছে, যা বড় বড় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আদর্শ। দর্শকদের জন্য থাকবে উচ্চগতিসম্পন্ন এলিভেটর, যা প্রতি সেকেন্ডে ৩ মিটার গতিতে চলবে এবং একসঙ্গে ১৫ জন যাত্রী বহন করতে পারবে।

    ভূমিকম্প প্রতিরোধী এই টাওয়ারের ভিত্তি ৩৫ মিটার গভীর, যেখানে ১৬৯টি পাইলিং করা হয়েছে। মিনারের ভূমিস্তরের ব্যাস ৪০ মিটার, যা শীর্ষে গিয়ে ২২ মিটার এবং নিম্নভাগে ১২ মিটার। নির্মাণে প্রায় ১,৪০০ টন স্টিল ব্যবহৃত হয়েছে।

    হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “পঞ্চদীপ মিনার হাওড়ার সম্মান বাড়াবে এবং এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠবে।”

    কেন্দ্রীয় হাওড়ার বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, “২০১৫ সালে এই প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসাহেই এটি বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি হাওড়া এবং বাংলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনোদন কেন্দ্র হবে, যা আন্তর্জাতিক পর্যটকদেরও আকর্ষণ করবে।”

    বর্তমানে পঞ্চদীপ মিনারের শেষ পর্যায়ের নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে চলছে এবং অনুমান করা হচ্ছে, আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই এটি দর্শকদের জন্য খুলে যাবে।
  • Link to this news (আজকাল)