ঠাকুরপুরে এটিএম জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে কার্ড ভরলে তা মেশিনে আটকে রয়ে যাচ্ছে। উপায় না দেখে কাউন্টারের দেওয়ালে লেখা ইঞ্জিনিয়ারের নম্বরে ফোন করছেন গ্রাহকরা। আর ফোন করা মাত্রই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এক গ্রাহকের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন তিনি। কার্ড পাঞ্চ করতেই সেটি মেশিনের মধ্যে লক হযে যায়। কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে, এটিএম কাউন্টারের দেওয়ালে থাকা ইঞ্জিনিয়ারের নম্বরে ফোন করেন। এরপরই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কলকাতাজুড়ে একের পর এক এটিএম জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসায় চিন্তিত গ্রাহকরা। এটিএমে টাকা তুলতে যাওয়া কতখানি সুরক্ষিত, সেই প্রশ্নও উঠছে। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে যাদবপুরের কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএমে জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। কার্ড পাঞ্চ করতেই সেটি মেশিনের মধ্যে লক হয়ে যায়। এরপর এটিএম কাউন্টারে থাকা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতেই টাকা লোপাট হয়ে যায়।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রতারকরা এটিএমে আগে থেকে কোনও ডিভাইস লাগিয়ে রেখেছিল। সেই কারণেই কার্ড আটকে যায়। কার্ডের তথ্য চলে যায় প্রতারকদের সার্ভারে। বোতামের জায়গায় লাগানো ছোট ক্যামেরার সাহায্যে পিন নম্বরও জানতে পেরে যান তাঁরা। এটিএমের গায়ে লাগানো নম্বরও প্রতারকদের। সেখানে ফোন করলে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করা হয়। কথার ফাঁকে প্রয়োজনীয় তথ্য হাতিয়ে নিয়ে টাকা তুলে নেন প্রতারকরা।