• গলা কাটে স্ত্রী, স্বামী দেয় দড়ি! এবার আসানসোলে ট্যাংরা-হালতুর ছায়া...
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ মার্চ ২০২৫
  • বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: দম্পতির গলা কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করল আসানসোলের কুলটির থানার পুলিস। শনিবার সকালে স্থানীয় আলডি গ্রামের ঘটনা। আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পেরেছে, অত্যধিক ধার দেনা হয়ে যাওয়াই দম্পতি আত্মহত্যা করেছে।

    প্রাথমিকভাবে পুলিস জানতে পেরেছে প্রথমে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে নিজেদের গলা কেটে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল, তাতে স্ত্রী মারা গেলেও স্বামী নিজের গলা কাটতে পারেনি। তখন সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিস গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

    প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তাদের ৪ টে মেয়ে আছে। সবাই ছোট ছোট। মৃতদের নাম রূপ কুমার ও মালা দেবী। তারা ধার দেনা কোথায় করেছিল তা কেউ না বলতেও পারলে, সবাই জানিয়েছে যে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা ও অশান্তি হত।

    প্রসঙ্গত, একই পরিবারের ৩ জনের রহস্যমৃত্যু হালতুতে। বাবা, মায়ের ঝুলন্ত দেহের সঙ্গেই উদ্ধার আড়াই বছরের সন্তানের নিথর দেহ। বাবার সঙ্গে বাধা অবস্থায় ছিল আড়াই বছরের শিশুপুত্রের দেহ। একই ঘর থেকে মেলে ৩ জনের দেহ। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে সুইসাইড নোট। সুইসাইড নোটে ২ জনের নাম উল্লেখ। সম্পত্তিগত বিবাদ চলছিল বলে মনে করা হচ্ছে। মৃতদের নাম সোমনাথ রায় (৪০), সুমিত্রা রায় (৩৫) ও রুদ্রনীল রায় (২.৫)। 

    সোমবার রাত ৯ টায় শেষ দেখা যায় সন্তান সহ এই দম্পতিকে। তারপরই এদিন ঘরের মধ্যে থেকে মিলল স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের নিথর দেহ। স্বামী-স্ত্রীর দেহ পাশাপাশি ঝুলছিল। বাবা সোমনাথ রায়ের ঝুলন্ত দেহের সঙ্গে বাধা অবস্থায় ছিল শিশুপুত্র রুদ্রনীলের স্পন্দনহীন দেহ। 

    Disclaimer: আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 


    iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১


    কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)