শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: নির্ধারিত অধ্যাপক অনুপস্থিত। আর তাই ক্লাস নিচ্ছিলেন পিএইচডি পড়ুয়া। তাঁর তত্ত্বাবধানে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করতে গিয়ে অ্যাসিডে পুড়ল স্নাতকোত্তর ছাত্রী। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী। শুক্রবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিনা নোটিসে অধ্যাপকের অনুপস্থিতির বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে জানানো হচ্ছে। তাঁর নির্দেশ মতো ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
অসমের জুপিতারা রাভা অসমের বাসিন্দা। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরে প্রথম সেমেস্টারের ছাত্রী। গতকাল তাঁর প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস ছিল। কিন্তু ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন না সহকারী অধ্যাপক সৌমেন সাহা। এক গবেষণারত পিএইচডি পড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস চলছিল। সেখানে টেস্ট টিউব উলটে পড়ুয়ার গায়ে সালফিউরিক অ্যাসিড পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তার বুক, পেটের বিরাট অংশ জ্বলে যায়। তৎক্ষণাৎ তাঁকে উদ্ধার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে শরীরে প্রায় ২৫ শতাংশ ‘বার্ন ইনজুরি’ নিয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি।
এ প্রসঙ্গে সেরিক্যালচার বিভাগীয় প্রধান সৌমেন সাহা বলেন,”অধ্যাপক অমিত মণ্ডল বিনা নোটিসে ক্লাস অনুপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানায়নি। ছাত্রীর বুক থেকে পা পর্যন্ত অ্যাসিড পড়ে পুড়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। অধ্যাপকের অনুপস্থিতির বিষয়টা রেজিস্ট্রারকে জানানো হবে।”