• যাদবপুরে নিজের মেয়েকে তিনতলার বারান্দা থেকে ফেলে দিল বাবা, গ্রেফতার অভিযুক্ত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ মার্চ ২০২৫
  • আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আর এই দিনই কলকাতায় ঘটল মর্মান্তিক ও শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। নিজের মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। কারণ বাড়ির তিনতলার বারান্দা থেকে ধাক্কা মেরে ১৫ বছর বয়সের মেয়েকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার বাবার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে যদিও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ, শনিবার দুপুরে আনন্দপুরের ফ্ল্যাটের নীচ থেকে ওই কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মেয়েটি তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে পড়ে গিয়েছে। প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন, কিশোরীর বাবাই মেয়েকে খুনের উদ্দেশে ধাক্কা দিয়েছেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    এদিকে আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ যাদবপুর থানায় স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন করেন। আর ফোন করে এমন ঘটনার কথা জানান। ফোনের ওপার থেকে জানানো হয়, যাদবপুর এলাকার এক বাড়ি থেকে এক ব্যক্তি তার ১৫ বছরের মেয়েকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে। যাতে মরে যায় নীচে পড়ে। এই খবর পেয়েই তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং এলাকার লোকজনের সাহায্যে ওই কিশোরীকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন মেয়েটি। এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা শিউরে উঠেছেন। নিজের বাবা যদি মেয়েকে খুন করতে চায় তাহলে মেয়েরা নিরাপদ নয়।


    অন্যদিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনেই এমন ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে যাদবপুর এলাকায়। যাদবপুর থানা এলাকার আনন্দপল্লী এলাকায় এখন এই ঘটনাই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম চিন্ময় গোপ। তাকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনায় ওই কিশোরীর এক প্রতিবেশী যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়। তার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৯৬/৩ নম্বর ফ্ল্যাটের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।

    এছাড়া প্রতিবেশী মহিলা সংযুক্তা চক্রবর্তী থানায় অভিযোগ জানান। আর তার ভিত্তিতে পুলিশ প্রথমে কিশোরীর বাবাকে গ্রেফতার করে। চিন্ময় গোপ নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৯ ধারা, খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এক এক করে খোঁজ করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। পুলিশের এখন নজর রয়েছে কিশোরীর শারীরিক অবস্থার দিকে। একটু সুস্থ হয়ে উঠলেই কিশোরীর বয়ান নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। কারণ কিশোরীর বয়ানই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)