উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। হেমতাবাদের দক্ষিণ ধোয়ারইল এলাকায় এক ব্যক্তির অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশে ছিল তার স্কুটি। রাস্তার ধার থেকে তার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় রহস্য চরমে। তাকে কেউ পুড়িয়ে খুন করল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মৃতের নাম বিট্টু ক্ষেত্রী।
এদিকে বাড়ি থেকে শুক্রবার নিখোঁজ হয়ে যান বিট্টু। তাঁর স্ত্রী সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে স্বামীর সন্ধান দেওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু তারপর শনিবার উদ্ধার হল তার দেহ। গোটা ঘটনায় পরতে পরতে রহস্য।
মৃত ব্যক্তির এক ভাই বলেন, কাল রাত ৮টা-সাড়ে ৮টা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না দাদাকে। আমরা এসে কিছুই দেখতে পাইনি। জুতোটা দেখা যাচ্ছে। গাড়ি কেনা বেচার কাজ করত। সুদের সামান্য কিছু ব্যবসা ছিল। দুদিন আগে টাকা নিয়ে ফোনে তর্কাতর্কি হচ্ছিল বলে শুনেছি। বাড়িতে একজন এসেছিল টাকা দিয়ে চলে গিয়েছে। পুরনো একটা ঘটনা ছিল। শ্বশুড়বাড়ির কাছে দোকান নিয়ে একটা ঝামেলা ছিল। মনে হচ্ছে প্ল্যান করে খুন করা হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির অপর ভাই বলেন, সাড়ে ৮টা নাগাদ আমি শেষবার বাজারেও দেখেছি। বৌদি আমার গর্ভবতী। রাতে খাওয়ার সময় বৌদি দেখেছিল ফোন সুইচড অফ রয়েছে। এরপর আমরা খুঁজতে বের হলাম। দু তিনদিন ধরে টাকা পয়সা নিয়ে একটা ঝামেলা চলছিল। আমরা তাদেরও সন্দেহ করছি। ধার নিয়েছিল কিন্তু ওরা টাকা দিচ্ছিল না। বছর খানেক ধরে ঘোরাচ্ছিল। দাদার হয়তো টাকার দরকার ছিল। দাদার টাকা নিয়ে টেনশন ছিল। আমরা চাই পুলিশ গ্রেফতার করে সকলকে জেরা করুক। সিআইডি তদন্ত চাই। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার বয়স্ক বাবা মা আছে। নতুন স্কুটি কিনেছিল। স্কুটির উপর শুইয়ে দিয়ে কিছু খাইয়ে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরাও তৃণমূল করি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাও তৃণমূল করে।
এদিকে গোটা ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। পরতে পরতে রহস্য। শনিবার সকালে রাস্তার ধারে জুতো দেখে সন্দেহ হয়। এরপরই তার পুড়ে যাওয়া দেহ উদ্ধার করা হয়। তবে কি তাকে ফোন করে ডাকা হয়েছিল? তবে কি এই ঘটনার সঙ্গে পরিচিত কেউ যুক্ত ছিল? পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার পেছনে কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।