ফের বিপুল সংখ্যক কার্তুজ উদ্ধার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার ঘটনা এখনও টাটকা। এ বার কাঁথির রেল পুলিশ আবাসনের পুকুর থেকে উদ্ধার হলো ব্যাগ ভর্তি কার্তুজ। কাঁথি রেল স্টেশন থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে এই আবাসনের পুকুর। সেখান থেকে ৩৯৩টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। স্বভাবতই এই খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। কোথা থেকে এগুলি এল, তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই প্রশ্ন, এগুলি এ ভাবে এখানে ফেলে রাখার উদ্দেশ্যই বা কী? অতিরিক্ত এসআরপি দেবশ্রী সান্যাল (খড়্গপুর জিআরপি ডিস্ট্রিক্ট) জানান, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেবশ্রী সান্যাল জানান, শনিবার দুপুরে তাঁদের কাছে খবর আসে। শ্রীবাস চন্দ্র দাস নামে এক রেলওয়ে ট্র্যাকম্যান তাঁদের জানান, তাঁরা কোয়ার্টারের পাশে পুকুরে মাছ ধরছিলেন। সে সময় তাঁদের হাতে একটি ব্যাগ ঠেকে। বেশ ভারী ছিল সেই ব্যাগ। তা তুলতেই দেখেন প্লাস্টিকের ভিতর কার্তুজের ছড়াছড়ি।
দিঘা জিআরপিএস-এর আওতাধীন কাঁথি ক্যাম্প থেকে আধিকারিক ও ফোর্স পৌঁছয়। দেখা যায় প্রচুর কার্তুজ। তবে সেগুলি সক্রিয় নয় বলে জানান অতিরিক্ত এসআরপি দেবশ্রী সান্যাল। তিনি জানান, ৩৯৩টি বুলেট হেডের মধ্যে ৩৫০টি পয়েন্ট থ্রি নট থ্রি-এর বুলেট হেড, পয়েন্ট ৩৮-এর বুলেট হেড আছে ৩টি, নাইন এমএম-এর বুলেট আছে ৭টি, একে ৪৭-এর বুলেট আছে ৩৩টি।
তিনি জানান, নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মাসেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের জীবনতলা থেকে ১৯০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়। বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তারও করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ।