খাদ্য ও পানীয়ের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণের ভাবনা রাজ্যের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ মার্চ ২০২৫
কথায় বলে স্বাস্থ্যই শ্রেষ্ঠ সম্পদ। আর সেটা বজায় রাখতে গেলে খাদ্য ও পানীয়ের ভূমিকা অপরিসীম। রাজ্যকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে এবং সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর সবার আগে নজর দিতে হবে। সেজন্য খাদ্য ও পানীয় দ্রব্যে ভেজাল রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য নবান্ন। রাজ্যজুড়ে চলবে তীক্ষ্ণ নজরদারি ও সচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে প্রচার। প্রতিটি জেলায় গড়ে তোলা হচ্ছে খাদ্য পরীক্ষাগার, আরও বেশি করে ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগারের ব্যবহার বাড়ানোরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যবাসীর মধ্যে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য নাগরিক সচেতনাতেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে শুক্রবার নবান্নে একটি বিশেষ বৈঠক হয়েছে। সেখানে শুধু রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নয়, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাও এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। সেই বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে ‘স্টেট্ লেভেল অ্যাডভাইজারি কমিটি অন ফুড সেফটি’ এই বিষয়গুলি নিয়ে কীভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে তা গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করে। একটি চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত গুণমান যুক্ত খাদ্যের ক্ষেত্রে এখন দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাজ্য। এবার খাদ্য ও পানীয়ের ক্ষেত্রেও রাজ্যকে দেশের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার? জানা গিয়েছে, দুটি বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত খাদ্যে ভেজাল রোধে নজরদারি বৃদ্ধি এবং খাবার ও পানীয়ের গুণগত মান বৃদ্ধি। দ্বিতীয়ত মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালানো হবে। এছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপরে বিশেষভাবে জোর দেওয়া হবে। খাবারের গুণগতমান ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতেও প্রচার চালানো হবে। সেই সঙ্গে খাদ্য ব্যবসায়ীদের অনুমতিপত্র প্রদানের নিয়মও সরল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে আগের থেকে অনেক সহজ উপায়ে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ চালু করা যায়। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বৈঠকে উপস্থিত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিও।